আর মাত্র তিনদিন। এরপর ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অপরদিকে ডেমোক্র্যাটসদের হয়ে লড়ছেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস।
এই নির্বাচনের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের চিরশত্রু দেশ ইরানের সাধারণ মানুষ। চিরশত্রু হলেও ইরানের অনেক মানুষ চাইছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও প্রেসিডেন্ট হোক।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন দুই সপ্তাহ আগে ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে মার্কিন নির্বাচন নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রচার করে। সেখানকার মানুষকে ট্রাম্পের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হয়। এরমধ্যে অনেকেই বলেন তারা চান ট্রাম্পই আবার প্রেসিডেন্ট হোক।
যারা চেয়েছেন ট্রাম্প জয়ী হোক তারা বলেছেন, ট্রাম্প একজন শক্তিশালী নেতা। যিনি সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। অপরদিকে কমালা হ্যারিসকে তারা দুর্বল মনে করেন। তাদের মতে যদি কমালা নির্বাচিত হন তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পুরোনো নীতিতেই চলতে থাকবে।
আরেকটি বিষয় হলো অনেক ইরানি মনে করেন ট্রাম্প যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তাহলে তিনি ইরানের রাজনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে পারবেন।
ইরানি সাংবাদিক ফারিবা পাজোহ বার্তাসংস্থা ডয়েচ ভেলেকে বলেছেন, “অসহনীয় অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে থাকা অনেক ইরানি মৌলিক পরিবর্তন চান। তাদের অনেকে মনে করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প হলো সেই ব্যক্তি যিনি ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে পারবেন।”
এই সাংবাদিক আরও বলেছেন, “ট্রাম্পের বক্তব্যগুলো শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র নয়, ইরানেও বেশ গুরুত্বের সঙ্গে শোনা হয়। অনেক ইরানি মনে করেন ট্রাম্প ইরানের সরকারের পরিবর্তন ঘটাতে পারবেন। এমনকি ট্রাম্প বলেছেন ইরান যেন পারমাণবিক বোমা তৈরি না করতে পারে সে বিষয়টি তার প্রাধান্যের তালিকায় থাকবে।”
কঠোর ইরান বিদ্বেষী ট্রাম্পের সম্ভাব্য পুনর্জয় নিয়ে ইরান সরকারের মধ্যে আলোচনা চলছে। সরকারের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে তিনি দায়িত্ব নিয়ে ইরানের ওপর হয়ত আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন।