আইপিএল ২০২৫-এর প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে এই হারের ফলে শেষ চারে জায়গা পাওয়ার লড়াই এখন কেবল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস এবং দিল্লি ক্যাপিটালস এর মধ্যে।
গতকাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ম্যাচে দারুণ শুরু করেছিল এলএসজি। মিচেল মার্শ ও এইডেন মার্করামের জুটিতে মাত্র ১০ ওভারে আসে ১১৫ রান। তবে পুরোনো বলকে কাজে লাগিয়ে বোলারদের চাতুর্যে এলএসজিকে ২০৫ রানে থামিয়ে দেয় হায়দরাবাদ। পরে সেই রানও যথেষ্ট হয়নি, কারণ ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন অভিষেক শর্মা।
এই ম্যাচে আগে থেকেই প্লে-অফের সম্ভাবনা ছিল না হায়দরাবাদের। তবে দলে ট্রাভিস হেড না থাকলেও (কোভিড-১৯-এর কারণে ফিরতে দেরি) ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত এক শক্তি তারা যে এখনো ধারণ করে, সেটাই প্রমাণ করে দিল হায়দরাবাদ। যদিও এই মৌসুমে ধারাবাহিকতা ছিল না, তবে সামর্থ্যের ঝলক ছিল চোখে পড়ার মতো।
মাত্র ২০ বলে ৫৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ছয়টি ছক্কা হাঁকান অভিষেক শর্মা। এরপর কাজটা সহজ করে দেন তার সতীর্থরা। ইশান কিশান, হেনরিখ ক্লাসেন ও কামিন্দু মেন্ডিস সবাই ৩০-এর বেশি রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন ১০ বল হাতে রেখেই।
লক্ষ্ণৌয়ের ব্যাটিং আবারও নির্ভর করছিল মাত্র তিন ব্যাটারের ওপর। ওপেনারদের হাফসেঞ্চুরির পর নিকোলাস পুরান খেলেন ২৬ বলে ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংস। তবে বাকি ব্যাটারদের কেউই দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। প্রথম ১০ ওভারে স্কোর ছিল ১০৮/০, কিন্তু পরের ১০ ওভারে পড়ে যায় ৭ উইকেট, রান আসে মাত্র ৯৭। ধীর গতির বোলিং ও পেস ভ্যারিয়েশনে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরেছিল হায়দরাবাদ।
ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং কিছুটা সহজ হয়েছিল কি না, সেটা নিশ্চিত বলা মুশকিল। তবে লক্ষ্ণৌ বোলিং আক্রমণ যেভাবে পথ হারিয়েছিল, তাতে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়ে তাদের জন্য।