মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে খুলনা সার্কিট হাউজে জনপ্রতিনিধি, পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর তারা এই ঘোষণা দেন। বৈঠক শেষে কোটা সংস্কার আন্দোলনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক তানভীর আহমেদ এবং আজম খান কমার্স কলেজের সমন্বয়ক শেখ রাফসান জানি কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও সমন্বয়ক তানভীর আহমেদ বলেন, ‘আমার কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন করেছি। তবে খুলনাতে আমরা কোনো সহিংসতা করিনি। এখন আন্দোলন ভিন্ন খাতের দিকে চলে যেতে পারে, তা নিয়ে আজ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমরা জানিয়ে দিচ্ছি আমাদের পরবর্তীতে আর কোনো কর্মসূচি নেই।’
কোটা আন্দোলনের সৃষ্টি সহিংসতায় যারা মারা গেছেন, তাদের ব্যাপারে নিরপেক্ষ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।
তানভীর বলেন, ‘আমাদের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থী মুগ্ধ ঢাকাতে নিহত হয়েছেন। তিনিসহ সব নিহতের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাই।’
আজম খান কমার্স কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগে শিক্ষার্থী ও কোটা আন্দোলন সমন্বয়ক শেখ রাফসান জানি বলেন, ‘খুলনাতে আন্দোলনের সময় আমাদের সঙ্গে পুলিশের কোনো সংঘর্ষ হয়নি। এজন্য পুলিশ প্রশাসন আমাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। আজ থেকে আমাদের আর কোনো কর্মসূচি নেই, আমরা সব আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছি।’
এই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সমন্বয়কারী ও তাদের অভিভাবকরা।
সভায় খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ খুলনার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ডেকে আমরা বললাম তোমাদের সব দামি মেনে নেয়া হয়েছে। খুলনায় পুলিশ যদি তোমাদের নামে কোনো মামলা দিয়ে থাকে তা প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। তোমাদেরকে আমার অনুরোধ করব, তোমাদের এ আন্দোলনের মধ্যে ঢুকে জামায়াত-বিএনপি যে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, এটা বন্ধ করতে সহায়তা কর। এই আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন সবগুলো তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা তা মেনে নিয়েছেন।’
সময় টিভি