যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প আবারও টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব (পারসন অব দ্য ইয়ার) নির্বাচিত হয়েছেন।
নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়েও ঐতিহাসিকভাবে ক্ষমতায় ফিরে আসা, আমেরিকান ভোটারদের ঢেলে সাজানো, তরুণ পুরুষ ভোটারদের সমর্থন আদায়, প্রেসিডেন্সিকে নতুন রূপ দেওয়া-সহ বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা পরিবর্তনের জন্য ডনাল্ড ট্রাম্পকে টাইমের ২০২৪ সালের বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পর প্রথমবার তাকে টাইমের বর্ষসেরা ব্যক্তিত্বে খেতাব দেওয়া হয়েছিল।
টাইম ম্যাগাজিন ১৯২৭ সাল থেকে ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচন করা শুরু করে। ঐতিহ্য অনুসারে একটি বছরের ঘটনাবলীতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলা কোনও ব্যক্তিকে- তা ভাল বা খারাপ যার জন্যই হোক না কেন- বর্ষসেরা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়।
ট্রাম্প ২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনি দৌড় শুরু করার পর থেকে সম্ভবত তিনি ছাড়া আর কেউই রাজনীতির ধারা এবং ইতিহাস বদলে দেওয়ায় তেমন বড় ভূমিকা রাখেনি।
২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে অনেককেই চমকে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তারপর বিশৃঙ্খলাপূর্ণ এক প্রেসিডেন্সির মেয়াদ পর করার মধ্যে কোভিড মাহামারীর মতো বড় দুর্যোগ, দেশব্যাপী বিক্ষোভ এবং শেষ বেলায় ভোটে হেরে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে সহিংস দাঙ্গার মধ্য দিয়ে তিনি বিদায় নিয়েছিলেন।
সেই সময়টাকে ট্রাম্পের অসফলতার সর্বনিম্ন বিন্দু হিসাবে ধরে নিলে, আজ আবার মহিমান্বিতভাবে বিপুল জয় নিয়ে তার প্রেসিডেন্ট পদে ফিরে আসতে সফল হওয়ার সর্বোচ্চ বিন্দুই দেখা যাচ্ছে।
বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব নির্বাচনের চূড়ান্ত তালিকায় ট্রাম্পকে রাখার ব্যাখ্যায় টাইম বলেছিল, “অবিশ্বাস্য রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তন’ ঘটিয়ে তিনি ২০২৪ সালের নির্বাচনে জিতেছেন। তার এই জয় নানাদিক থেকে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে: তিনি হবেন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট। ফৌজদারি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়া প্রথম প্রেসিডেন্টও হবেন তিনি।”