সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। এই সময়ে দেশটিতে বসবাসরত অনিয়মিত ও বৈধ কাগজপত্রবিহীন অভিবাসীরা বৈধ হওয়া এবং জরিমানা ছাড়া দেশে ফেরার সুযোগ পাবেন। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, সাধারণ ক্ষমার কার্যক্রম চলবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আমিরাতের ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টিটি, সিটিজেনশিপ, কাস্টমস ও পোর্ট সিকিউরিটি (আইসিপি) বরাদ দিয়ে গত বৃস্পতিবার রাতে এ তথ্য জানায় খালিজ টাইম। যারা পূর্বে আমিরাতে রেসিডেন্স ভিসায় ছিলেন এবং বর্তমানে অবৈধ তারা ‘স্পন্সর’ খুঁজে বৈধ হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন অথবা বিনা জেল-জরিমানা বা নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই আমিরাত ত্যাগ করতে পারবেন। ভ্রমণ ভিসায় দেশটিতে ঢুকে অবৈধ হয়ে যাওয়া অভিবাসীরাও সাধারণ ক্ষমার আওতায় রয়েছেন।
এদিকে দেশটিতে অবৈধ হয়ে যাওয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা গত দুই মাস সাধারণ ক্ষমার সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন। যদিও এখন পর্যন্ত কতজন প্রবাসী বৈধতা পেয়েছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাস ও দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেটের তথ্যমতে, ১ আগস্ট থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ও ই-পাসপোর্ট মিলে দুই মিশন থেকে ৬৮ হাজার ৮২৮টি পাসপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এ সময়ে দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেট থেকে ট্রাভেল পারমিট নিয়েছেন ৪ হাজার ৭২ জন। আবুধাবি দূতাবাসে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ট্রাভেল পারমিট নিয়েছেন ৩৫৬ জন বাংলাদেশি।
দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটে নবনিযুক্ত কনসাল জেনারেল মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, আগস্টের শুরুতে সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা এলে অনেকেই স্বপ্রণোদিত হয়ে পাসপোর্টের আবেদনসহ বৈধতার চেষ্টা শুরু করেন। ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ৫১ হাজারের অধিক প্রবাসী পাসপোর্ট পেয়েছেন।
আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মীযানুর রহমান সমকালকে বলেন, গত দুই মাসে যারা পাসপোর্টের আবেদন করেছেন, তাদের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পাসপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এখনও যদি কারও পাসপোর্ট মেয়াদোর্ত্তীণ হয়ে থাকে এবং সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিতে চান তারা দ্রুত আবেদন করলে এই সময়সীমার মধ্যে পাসপোর্ট সরবরাহের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। নতুন সময়সীমা শেষে যদি কেউ অবৈধ বা অনিয়মিত থাকেন, তাহলে স্বাগতিক দেশের সরকার অন্তত কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে সতর্ক করেন তিনি।
এর আগে দেশটি অবৈধ অভিবাসীদের জন্য ১ সেপ্টেম্বর থেকে দুই মাসের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে। পূর্ব নির্ধারিত সময় ৩১ অক্টোবর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার তা আরও দুই মাস বাড়ানো হয়।