জামাল ভূঁইয়া, তারিক কাজীর পর হামজা চৌধুরী। তৃতীয় প্রবাসী ফুটবলার হিসেবে বাংলাদেশে খেলার অনুমতি পেয়েছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লিস্টার সিটির ডিফেন্ডার হামজা চৌধুরী। হামজার মতো হাইপ্রোফাইল আরও প্রবাসী ফুটবলারের সন্ধানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। শুক্রবার গুলশানে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে এমনটিই জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল, ‘আশা করছি, হামজা চৌধুরীর মতো অন্য প্রবাসী যারা খেলছেন, তাদের চিহ্নিত করে বাংলাদেশ দলে খেলার জন্য অনুপ্রাণিত করতে পারব। এ ছাড়া বাফুফে চেষ্টা করবে খেলোয়াড়দের নিয়ে নানা তথ্য দিতে।’
ফিফা প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির অনুমোদন পাওয়া হামজা হয়তো ২০২৫ সালের মার্চে লাল-সবুজের জার্সিতে খেলবেন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা কোনো ফুটবলার বাংলাদেশের হয়ে খেলা এটাই প্রথম। সে জন্য সাবেক ও বর্তমান ফুটবলাররা রোমাঞ্চিত বলে জানান তাবিথ, ‘আমরা সাবেক অধিনায়কদের সঙ্গে কথা বলেছি। রানিং খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের কাছ থেকে জোরালো সাড়া পাচ্ছি। তারাও চাইছেন ভালো খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলতে। যেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শক্তিশালী দল গঠন করে ভালো ফুটবল খেলা যায়, পরিবেশ তৈরি হয়। সাফল্য পাওয়া যায়। শুধু তারাই দেশের হয়ে খেলবেন, তা নয়; লোকাল খেলোয়াড়রাও বিদেশিদের (হামজা) মাধ্যমে বাইরে খেলার সুযোগ পাবেন। এটাও হতে পারে।’
সামনে হামজার সঙ্গে বসবেন বলে জানান জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির এ চেয়ারম্যান, ‘হামজার সঙ্গে বাফুফের দেড় বছর ধরে কথা চলছে। তাঁর সঙ্গে আমার সরাসরি কথা হয়নি। তবে সামনের দিকে সরাসরি বসব। প্রস্তুতি নিচ্ছি, আরও দু-একজন খেলোয়াড় পাওয়া যায় কিনা। সব প্রস্তুতি নিয়ে হামজার সঙ্গে বসার চিন্তা করছি। পেশাদার ফুটবলারদের সামর্থ্য আছে সব জায়গায় মানিয়ে নেওয়ার। আমাদের খেলোয়াড়দেরও তা আছে। বিদেশেও যারা খেলেন, তাদেরও সেই সামর্থ্য আছে। আসলে দেখার বিষয়, যেখানে খেলব সেই ভেন্যুতে, সেখানে মানিয়ে নিতে পারেন কিনা। বিশেষ করে অ্যাওয়ে ম্যাচগুলোতে কীভাবে মানিয়ে নেবেন, সেটি নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা আছে। কাজ করব।’
হামজার মতো খেলোয়াড় অবশ্যই বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য বড় ব্র্যান্ড। সেটা নিয়ে অবশ্য ভাবছেন না তাবিথ, ‘হামজার মতো খেলোয়াড় কিংবা সামনে যারা খেলবেন দেশে, তারা মান বাড়াবেন। আপাতত ব্র্যান্ড ভ্যালু নিয়ে চিন্তা করছি না। উইনিং স্পিরিট নিয়ে ভাবছি। কম গোলে হারের চিন্তা থেকে জেতার মানসিকতায় যেতে চাই। খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে। সবাইকে নিয়ে ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি করতে হবে। এই যেমন নারী দলের স্পন্সর নিয়ে কাজ চলছে। শিগগির তা আপনাদের জানাতে পারব। হামজার কারণে দল অনেক শক্তিশালী হবে। ডিফেন্স অর্গানাইজ হবে আরও। পাশাপাশি অ্যাটাকিং সাইডও ভালো হবে। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের অনেক মেধা আছে। দেশের বাইরে ইতালি, জার্মানি কিংবা দক্ষিণ আমেরিকান যারাই আছেন; আমি বিশ্বাস করি, হামজা তাদের অনুপ্রেরণা জোগাবেন বাংলাদেশের জার্সি গায়ে খেলার জন্য।’