পাকিস্তানের মাটিতে ইতিহাসগড়া দুই টেস্ট জয়ের পর ভারতের মাটিতে দুই পরাজয়। সর্বশেষ ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে হার। পরপর তিন টেস্ট ম্যাচেই দলের ব্যাটাররা রান করতে ব্যর্থ হয়েছেন। যে কারণে প্রশ্ন উঠেছে, কেন ব্যাটাররা রান পাচ্ছেন না। আজ (বৃহস্পতিবার) প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হারের পর মেহেদী হাসান মিরাজ দিলেন এর ব্যাখ্যা।
ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হয়েছিল। ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল মূলত তখনই। বাংলাদেশকে দ্রুত গুটিয়ে ফেলে প্রথম ইনিংসে ২০২ রানের লিড নিয়েছিল প্রোটিয়ারা। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতার পর দ্বিতীয় ইনিংসে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিক ব্যাটাররা। অবশ্য এবারও ব্যর্থ হন টপঅর্ডার ব্যাটাররা। যে কারণে বড় পুঁজি পায়নি বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে মিরাজ বলছিলেন, ‘ডিসিশন মেকিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিছু কিছু জায়গায় ঘাটতি আছে, তাই ব্যাট হাতে বিপর্যয় হচ্ছে। উপরের দিকে একটা পার্টনারশিপ জরুরি। টপ অর্ডার ভালো শুরু এনে দিলে পরের ব্যাটারদের কাজ সহজ হতো।’
তবে আলাদা করে টপ অর্ডারের কথা জানালেন মিরাজ, ‘পাকিস্তানে যখন প্রথম টেস্টে টপ অর্ডার থেকে, ৩-৪ নম্বর থেকে ভালো শুরু দিয়েছিল, ওপেনাররাও ভালো করেছিল। এতে পরের বেতারদের কাজ সহজ হয়ে যায়। নতুন বল যদি ৫-৬ নম্বর ব্যাটারকে খেলতে হয় তাহলে তো কঠিন। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি কীভাবে টপ অর্ডাররা সফল হতে পারে, বেশিরভাগ টেস্টেই যেন সফল হয় এসব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।’
ব্যর্থতা মেনে মিরাজ আরও বলেন, ‘এত প্রশ্ন আসছে, ভালো খেললে এত প্রশ্ন আসত না। অবশ্যই আমাদের ব্যর্থতা, স্বীকার করছি। দল হিসেবে খেলতে পারিনি। ১-২ জন ভালো করলে দলীয় ফলাফল আসবে না। যেটা আমরা পাকিস্তানে করেছিলাম। খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি পাকিস্তানে। অনেক উন্নতির জায়গা আছে। ব্যাটারদের দায়িত্ব নিতে হবে।’
‘টেস্টে বোর্ডে রান না থাকলে বোলারদের জন্য কঠিন। বোলাররা খুবই ভালো করেছে, প্রেশার নিয়ে যেভাবে বল করে অবশ্যই প্রশংসা করতে হবে। তাইজুল ভাই খুব ভালো বোলিং করেছে। প্রত্যেক ব্যাটার রান করবে না। তবে ৩-৪ জন ব্যাটার যেন রান করে। বড় স্কোর হয়। তাহলে দলীয় পুঁজি বড় হয়। আশা করি সামনে কামব্যাক করতে পারব।’