ইউক্রেনে ড্রোন হামলা চালানোর জন্য ইরান রুশ-অধিকৃত ক্রিমিয়ায় সামরিক বিশেষজ্ঞদের মোতায়েন করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সদর দফতর হোয়াইট হাউস এমন তথ্য দিয়েছে।
শুক্রবার বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের এক মুখপাত্র বলেছেন যে ক্রিমিয়ায় অবস্থান করা ড্রোন চলানোর প্রশিক্ষক এবং প্রযুক্তি সহায়তা কর্মীরা ইরানের নাগরিক।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে সোমবার “কামিকাজে” ড্রোন দ্বারা আঘাত হানে রাশিয়া। তবে ধারণা করা হয় যে রুশ আক্রমণের সময় ব্যবহৃত এ ড্রোনগুলো ইরানের তৈরি।
এমন অভিযোগের কারণে যুক্তরাজ্য ইরানের ব্যবসা এবং ড্রোন সরবরাহের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমাদের মূল্যায়ন হলো যে ইরানের সামরিক কর্মীরা ক্রিমিয়ার মাটিতে ছিলো এবং এ অভিযানে রাশিয়াকে সহায়তা করেছিল।’
তিনি বলেন, “অপেক্ষাকৃতভাবে অল্প” সংখ্যক ইরানি প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে এবং রাশিয়ানরা ইউক্রেনে ড্রোন আক্রমণ চালাচ্ছে। এই ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের অবকাঠামোর উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে।
জন কিরবি বলেন, তেহরান এখন প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তারা রাশিয়াকে যে অস্ত্র সরবরাহ করছে, তা ইউক্রেনের বেসামরিক লোকজন ও অবকাঠামোর ক্ষতি করছে।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র বলেন, ইউক্রেনের জনগণের বিরুদ্ধে ইরান এই যে অস্ত্রশস্ত্রের ব্যবস্থা করছে, তা উন্মোচন, প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র সব উপায় অবলম্বন করতে যাচ্ছে।
জন কিরবি বলেন, ‘আমরা রাশিয়া ও ইরান—উভয়ের অস্ত্র ব্যবসার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জোরালোভাবে প্রয়োগ করতে যাচ্ছি।’
কিয়েভ ও তার পশ্চিমা মিত্ররা বলছে, রাশিয়াকে কামিকাজে ড্রোন দিয়ে সহায়তা করছে ইরান। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনে হামলায় এই ড্রোন ব্যবহার করেছে মস্কো। তবে ড্রোন দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ইরান। তেহরান বলছে, রাশিয়াকে ইরানের ড্রোন সরবরাহ করার দাবি ভিত্তিহীন।
সূত্র : বিবিসি


