ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধ করা অন্তত ১০০ জন উত্তর কোরিয়ার সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদ সদস্য লি সাং-কওন। এবং এ যুদ্ধে আরও ১,০০০ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বিবিসি।
দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (NIS)-এর ব্রিফিংয়ের পর তিনি এই তথ্য প্রকাশ করেন। লি সাং-কওন জানান, হতাহতের মধ্যে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও রয়েছেন। সেনাদের অপরিচিত যুদ্ধক্ষেত্র এবং ড্রোন যুদ্ধের অভিজ্ঞতার অভাবের কারণেই এই ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে।
এই সপ্তাহের শুরুতে প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়ার সেনাদের হতাহতের খবর পাওয়া যায়। জানা গেছে, অক্টোবর মাসে উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার যুদ্ধে সহায়তার জন্য ১০,০০০ সেনা পাঠায়।
সোমবার, মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের একজন মুখপাত্র উত্তর কোরিয়ার সেনাদের নিহত হওয়ার কথা জানালেও সুনির্দিষ্ট সংখ্যা দেননি। এর একদিন পর, একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে “শতাধিক” সেনা নিহত বা আহত হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার সেনাদের মধ্যে এই হতাহতের ঘটনা রাশিয়ার কুর্স্ক অঞ্চলে ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত শনিবার, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, কুর্স্ক অঞ্চলে রাশিয়ার হামলায় “উল্লেখযোগ্য সংখ্যক” উত্তর কোরিয়ার সেনা অংশ নিচ্ছে। তবে তারা ইউক্রেনের ভূখণ্ডে মোতায়েন হয়েছে বলে মনে করা হয় না।
লি সাং-কওন আরও জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের প্রস্তুতির খবর রয়েছে এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন নিজে এই প্রশিক্ষণের তত্ত্বাবধান করতে পারেন।
এ বিষয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, “রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর মধ্যে অভিযোগ উঠেছে অপরিচিত যুদ্ধক্ষেত্র এবং ড্রোন যুদ্ধ সম্পর্কে জ্ঞান না থাকায় উত্তর কোরিয়ার সেনাদের ফ্রন্টলাইন আক্রমণ ইউনিট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, যা তাদেরকে সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে।”
তবে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে এই সেনা মোতায়েনের বিষয়টি স্বীকার না করলেও উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে তাদের জোট পশ্চিমা প্রভাব বিস্তার রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।