ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে বিতর্কিত কেউ মনোনয়ন পেলে তা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ কথা জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় যাত্রাবাড়ী-ডেমরা মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন তিনি।
সেখানে সাংবাদিকদের সেতুমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে বিতর্কিত কোনো ব্যক্তি নমিনেশন পেলে সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট অভিযোগ পাওয়া মাত্রই খতিয়ে দেখছি। প্রয়োজনবোধে সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমি এ বিষয়ে অলরেডি বলেছি, বিতর্কিত কোনো নাম এলে সঙ্গে সঙ্গে খতিয়ে দেখতে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের সব সাংগঠনিক ইউনিটকে ১৬ অক্টোবর থেকে সভা ডেকে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যথাযথভাবে রেজুলেশন-তৃণমূলের সুপারিশ প্রস্তুত করার জন্য সাংগঠনিক নির্দেশনা দিয়েছি।
এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সবাইকে গঠনতন্ত্রের বিধান অনুসরণের নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
ইউপি নির্বাচন উপলক্ষে দলের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগেই রেজুলেশন প্রস্তুত করে রাখতে হবে, যাতে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রেরণ করা সম্ভব হয়।
তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়া করে রেজুলেশন প্রস্তুতির কারণে অনেক জায়গায় সাংগঠনিক বিধি অনুসরণ করা হয়নি। এছাড়া শেষ মূহুর্তে একসঙ্গে সব রেজুলেশন নিয়ে কাজ করা কঠিন।
আওয়ামী লীগের দপ্তর বিভাগে এসব রেজুলেশন ঠিক সময়ে প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে সমস্যার মুখোমুখি
হচ্ছে বলে জানান তিনি।
অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ পালাবার পথ পাবে না- মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, পালিয়ে যাওয়ার অভ্যাস আওয়ামী লীগের নেই। পালিয়ে যাওয়ার অভ্যাস বিএনপির। কারণ আজকে তাদের চেয়ারপারসন তো দণ্ডিত এবং জেলবন্দি। প্রধানমন্ত্রীর উদারতায় তিনি আজকে বাসায় অবস্থান করছেন। কিন্তু যার নেতৃত্বে বিএনপি চলছে তিনিও একজন দণ্ডিত, পলাতক আসামি। সবচেয়ে বড় কথা হলো তিনি মুচলেকা দিয়ে রাজনীতি করবেন না বলে লন্ডনে চলে গিয়েছিলেন। তারপর আর ফিরে আসেননি। সুতরাং তিনি পলাতক, তার নেতাই তো ফিরে আসেনি। তিনি আবার আওয়ামী লীগের পালানোর কথা বলেন।