চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে এইচএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত ২৭ জুন ব্ল্যাকমেইল করে হোটেলে নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওই ছাত্রীর। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন সংশ্লিষ্টরা। মঙ্গলবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
এ ঘটনায় কলেজটির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এমএলএসএস মোশাররফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁকে এক দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার মোশাররফ ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার উত্তর শ্রীপুর জাফর মাস্টারের পুরাতন বাড়ির তোফায়েল আহমদের ছেলে। বিবাহিত মোশাররফ এক সন্তানের জনক বলে জানা গেছে। তিনি চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে দৈনিক ভিত্তিতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
চকবাজার থানার ওসি ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে। এক দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলায় ওই শিক্ষার্থী উল্লেখ করেছেন, গত ২৭ জুন তাঁর মাকে নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র নিতে কলেজে যান ওই শিক্ষার্থী। দেরি হওয়ায় মাকে বাসায় পাঠিয়ে দেন। পরে তিনি পদার্থবিজ্ঞান ভবনের ওয়াশরুমে যান। সেখান থেকে বের হওয়ার সময় আরেক সহপাঠীর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। সহপাঠীর সঙ্গে ওয়াশরুমের সামনে কথা বলতে দেখেন অভিযুক্ত মোশাররফ। বিষয়টি ছাত্রীর পরিবার, কলেজের অধ্যক্ষসহ সবাইকে বলে দেওয়ার ভয় দেখান মোশাররফ। পরে মোশাররফ তাঁকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। ওই ছাত্রী বাসায় যাওয়ার জন্য তাঁর সঙ্গে সিএনজি অটোরিকশায় ওঠেন। পথে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে কোতোয়ালি থানার স্টেশন রোডের একটি হোটেলে নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন মোশাররফ। এক দিন পর ২৯ জুন ওই ছাত্রী চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ফেনীর গ্রামের বাড়ি থেকে মোশাররফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ওই ছাত্রী নিয়মিত পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। মোশাররফ দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োজিত ছিল। তাকে আর চাকরিতে রাখা হবে না।