মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঐতিহাসিক গ্রন্থাগারে কানাডার নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। গ্রন্থাগারটি কানাডার কুইবেক প্রদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ভারমন্ট অঙ্গরাজ্যের সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত। গত বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে হ্যাসকেল ফ্রি লাইব্রেরি ও ওপেরা হাউস জানায়, তারা আর ভবনটিতে কানাডীয়দের প্রবেশের সুযোগ দেবেন না।
অপেরা হাউস উদ্বোধনের এক বছর পর ১৯০৫ সালে গ্রন্থাগারটি প্রথম যাত্রা শুরু করে। ইচ্ছাকৃতভাবে এটি সীমান্তের দুই অংশে নির্মাণ করা হয়। এটি কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যের প্রতীক। এ গ্রন্থাগারে কানাডীয়দের প্রবেশ বন্ধ করায় আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতাও দুর্বল হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসন ও কানাডা সরকারের উত্তেজনার মধ্যে এ সিদ্ধান্ত এলো।
গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডাকে অঙ্গরাজ্য করার আশার কথা জানান। এর জেরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখায় কানাডা। দেশটি সদ্য সাবেক হওয়া প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হওয়ার সামান্য সম্ভাবনাও কানাডার নেই। তিনি এটাকে ‘নরকে তুষারবিন্দু’র সঙ্গে তুলনা করেন।
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের এসব পদক্ষেপের বিরোধিতা আসছে খোদ যুক্তরাষ্ট্রের ভেতর থেকেই। ভারমন্টের সিনেটর পিটার ওয়েলচ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, হ্যাসকেল ফ্রি লাইব্রেরি গ্রন্থাগারে কানাডার নাগরিকদের প্রবেশ বন্ধ করার খবর বিরক্তিকর। যদি এটা সত্য হয়, তবে তা প্রতিবেশী ও মিত্র দেশটির সঙ্গে উস্কানিমূলক আচরণ। ভারমন্ট কানাডাকে ভালোবাসে। সংস্কৃতির ভাগিদারির মাধ্যমে দুই দেশ অংশীদারিত্ব উদযাপন করে।