ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা একেবারে কমে গিয়ে দেশের সাত জেলায় ফের শুরু হয়েছে মৃদু তাপপ্রবাহ। আগামী দিনগুলোতে তাপপ্রবাহের আওতা আরও বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
সোমবার (১৩ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল পাবনার ঈশ্বরদীতে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ৩১ মার্চ শুরু হয়ে ৬ মে পর্যন্ত টানা ৩৭ দিন দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যায় তাপপ্রবাহ। কোথাও কোথাও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়ে তাপপ্রবাহ অতি তীব্র আকার ধারণ করেছিল। তীব্র গরমে কষ্ট পেয়েছিল প্রায় সারাদেশের মানুষ। গতকাল রোববার (১২ মে) সন্ধ্যা থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের বেশিরভাগ অঞ্চল ছিল বৃষ্টিহীন। এ সময়ে পটুয়াখালীতে ২০, হাতিয়ায় ১ এবং ঢাকায় ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, সোমবার টাঙ্গাইল, রাজশাহী, পাবনা, যশোর, নীলফামারী, রাঙ্গামাটি ও ফেনী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে তিনি জানান, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। মঙ্গল ও বুধবারও তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে তাপপ্রবাহের আওতা বিস্তৃত হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, কোনো বিস্তৃত এলাকাজুড়ে নির্দিষ্ট সময় ধরে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি থাকলে মৃদু, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি থাকলে মাঝারি ও ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তীব্র এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।