বাংলাদেশের বিপক্ষে কানপুর টেস্টে ভারতের একাদশে সুযোগ না পাওয়ায় ক্রিকেটারদের পানি খাওয়ানো বা বিভিন্ন কিছু এগিয়ে দেওয়ার কাজে ব্যস্ত সময় কাটান সারফারাজ খান। এর পরদিন তিনি নেমে যান ইরানি কাপ খেলতে। আর ম্যাচের দ্বিতীয় দিন দারুণ এক ডাবল সেঞ্চুরি করলেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।
বৃষ্টিবিঘ্নিত কানপুর টেস্টের চতুর্থ দিনের বেশিরভাগ সময়ই ভিরাট কোহলি, রোহিত শার্মাদের জন্য পানি টেনেই কাটে সারফারাজের। ম্যাচের শেষ দিনে তাকে ইরানি কাপের জন্য ছেড়ে দেয় ভারতীয় দল। সেই সুযোগ পেয়ে তিনি গড়লেন অনন্য কীর্তি।লাক্ষ্ণৌর একানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইরানি কাপে ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষে ২২১ রানে অপরাজিত আছে সারফারাজ। রেস্ট অব ইন্ডিয়ার বিপক্ষে মুম্বাইয়ের হয়ে এই দ্বিশতক করলেন তিনি।
ঐতিহ্যবাহী রাঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন ও ভারতের অন্যান্য ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া দলের মধ্যে হয়ে থাকে এক ম্যাচের ইরানি কাপ। মুম্বাইয়ের হয়ে রাঞ্জি ট্রফিতে রানের ফোয়ারা ছোটানোর পর এবার ইরানি কাপেও উজ্জ্বল সারফারাজ।ইরানি কাপের সুদীর্ঘ ইতিহাসে ডাবল সেঞ্চুরি করা মুম্বাইয়ের প্রথম ব্যাটসম্যান সারফারাজ। ১৯৭২ সালে রামনাথ পারকারের করা ১৯৫ রান ছিল মুম্বাইয়ের কোনো ব্যাটসম্যানের এত দিনের সর্বোচ্চ।ম্যাচের প্রথম দিন ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন সারফারাজ। বুধবার দ্বিতীয় দিনেও তাকে কেউ আউট করতে পারেনি। আজিঙ্কা রাহানের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ১৩১ রানের জুটি গড়েন তিনি। তানুশ কোতিয়ানকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে যোগ করেন ১৮৩ রান।
প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ১৫তম সেঞ্চুরিকে ডাবল সেঞ্চুরিতে রূপ দিলেন ভারতের হয়ে এখন পর্যন্ত তিনটি টেস্ট খেলা সারফারাজ। ২৭৬ বলে এখন পর্যন্ত ২৫ চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা মেরেছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় দিন শেষে মুম্বাইয়ের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৫৩৬ রান।৫১ ম্যাচের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ৭৫ ইনিংসে সারফারাজের নামের পাশে এখন ৪ হাজার ৪০৪ রান। গড় ৬৯.৯। অন্তত ৪ হাজার রান করা ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তার চেয়ে বেশি গড় শুধু ভিজায় মার্চেন্টের, ৭১.৬৪ গড়ে ১৩ হাজার ৪৭০ রান।গোটা বিশ্বে এই দুজনের ওপরে আছেন কেবল স্যার ডন ব্র্যাডম্যান, ৯৫.১৪ গড়ে ২৮ হাজার ৬৭ রান।