কারণে-অকারণে ছোট-বড় অপরাধের কথা বিবেচনা না করেই দেশে অহরহ মামলা হচ্ছে। এতে দিন দিন বাড়ছে মামলার জট। এখনও বিভিন্ন আদালতে ঝুলে আছে প্রায় ৩৭ লাখ মামলা। দিন দিন এই সংখ্যা শুধু বাড়ছেই। আপসযোগ্য অপরাধেও মামলা ঠুকে দেওয়া হচ্ছে। এসব অপরাধ মিটানো যাচ্ছে না গ্রাম্য বা নগর আদালতে।
সম্প্রতি সরকারবিরোধী বিভিন্ন কর্মসূচি ঘিরে ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনা। এসব ঘটনায় দেশব্যাপী মামলা হচ্ছে। এসব মামলায় আসামি হাজার হাজার নেতাকর্মী। দায়রা জজ আদালত এসব আসামিকে সাধারণত আগাম জামিন দেন না। নিরুপায় হয়ে তারা দ্বারস্থ হন হাইকোর্টের। কিন্তু হাইকোর্টেও বেঞ্চের সংখ্যা কম। এই অবস্থায় আগাম জামিন নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন বিচারপ্রার্থীরা। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আদালত ও বিচারকের সংখ্যা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন আইনবিদরা।
দেশের সার্বিক বিষয় বিবেচনা করলে আদালত বাড়ানো দরকার। বিচারক বাড়ানো দরকার। কারণ দেশে মামলার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। মামলা কমাতে বিচারক নিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে।
এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘হাইকোর্টের সব বেঞ্চ আগাম জামিন শোনেন না। শুনলে বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমত। আগাম জামিন তো সাময়িক রিলিফ (প্রতিকার)। পরে তো এসব মামলায় আবারও জামিন নিতে হয় জজ কোর্টে গিয়ে। যদি দায়রা জজ আগাম জামিন দিতেন তাহলে বিচার প্রার্থীদের ভোগান্তি কমতো। দেশের দূর-দূরান্ত থেকে তাদের কষ্ট করে ঢাকায় এসে জামিন নিতে হতো না।
