কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পদ্মা নদীতে নিখোঁজের দুইদিন পর আরেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মুকুল হোসেনের (৪০) মরদেহের খোঁজ মিলেছে।
বুধবার সকাল ৭টার দিকে পাবনার সুজানগর থানার নাজিরপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে মরদেহটি ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে নৌ পুলিশের একটি দল উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে।
এ বিষয়ে সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা সমকালকে বলেন, নাজিরপুর এলাকায় নদীতে এক ব্যক্তির ভাসমান মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। গিয়ে দেখা যায় লাশটি এএসআই মুকুলের। কুমারখালী থানা পুলিশকেও খবর দেওয়া হয়েছে। নদীর ঘটনা হওয়ায় নৌ পুলিশ কাজ করছে।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেল তিনটার দিকে অপর সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সদরুল হাসানের (৪০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ খেয়াঘাট এলাকা থেকে ভাসমান মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সাব অফিসার ফিরোজ আহমেদ বলেন, আজ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৪০-৪৫ কিলোমিটার দূরে পাবনার সুজানগরের নাজিরপুর এলাকায় এএসআই মুকুলের মরদেহটি পাওয়া গেছে। আর মঙ্গলবার ঘটনাস্থল থেকে আনুমানিক দুই কিলোমিটার দূর থেকে ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজ পুলিশ সদরুলের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিরা উদ্ধার হওয়ায় আমাদের অভিযান স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে দুর্বৃত্ত জেলেদের হামলায় সোমবার ভোরে উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের শ্রীখোল এলাকায় পদ্মা নদীতে তারা নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় আহত হন এক উপ-পরিদর্শক ও দুই ইউপি সদস্য।
নিহত সদরুল হাসান পাবনার আতাইকুলা থানার কাজিপুর গ্রামের আব্দুল ওহাবের বড় ছেলে ও মুকুল হোসেন মেহেরপুরের কালাচাঁদপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের ছেলে।
আহতরা হলেন- কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক নজরুল ইসলাম, কয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ছানোয়ার হোসেন ছলিম ও আনোয়ার হোসেন টিটন।