কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নইম উদ্দীন সেন্টুকে (৬০) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের নিজ অফিস কক্ষে গুলি করে হত্যা করা হয়।
নিহত নইম উদ্দীন সেন্টু ফিলিপনগর বাজারপাড়ার মৃত মুতালিব সরকারের ছেলে। জানা গেছ, তিনি আগে বিএনপির রাজনীতি করলেও পরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হন।
দৌলতপুর থানার পুলিশের এসআই খসরু আলম গণমাধ্যমকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এসআই খসরু আলম বলেন, সোমবার বেলা ১১টার দিকে ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। তবে কে বা কারা গুলি করে হত্যা করেছে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ওই ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রাশিদুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদের অফিস কক্ষে বসে কাজ করছিলেন। আনুমানিক বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রথমে জানালা দিয়ে চেয়ারম্যানকে পেছন থেকে গুলি করা হয়। এরপর কক্ষে ঢুকে আবারও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
ওই ইউনিয়নের এক সদস্য নাম না প্রকাশের শর্তে বলেছেন, পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মতো সকালে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ের নিজ কক্ষে বসে পরিষদের কাজ করছিলেন চেয়ারম্যান নঈম উদ্দীন সেন্টু চেয়ারের পেছনে থাকা জানালা দিয়ে দুর্বৃত্তরা তাকে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। গুলির শব্দে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে তাদের লক্ষ্য করেও গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা দিয়ে রাখে। এ ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে চেয়ারম্যানের লোকজন ইউনিয়ন পরিষদে এলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশকে ঘটনাস্থলে যেতে বেগ পেতে হয়।