ক্ষমতার ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে আয়োজিত এক জনসভায় ডোনাল্ড ট্রাম্প দৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেন—“কোনো কিছুই আমাকে থামাতে পারবে না।” দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের একশো দিন পূর্ণ করলেন ট্রাম্প। এই উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে নিজের প্রশাসনের অর্জন তুলে ধরার পাশাপাশি, রাজনৈতিক ও বিচার বিভাগীয় প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি।
দ্য গার্ডিয়ান-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ট্রাম্পের ভাষণ ছিল নির্বাচনী প্রচারের আদলে। তিনি বলেন, “এই ১০০ দিনে আমরা এমন পরিবর্তন এনেছি, যা গত ১০০ বছরে কেউ আনতে পারেনি।” সমাবেশে তিনি দাবি করেন, তার সরকার অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং এর ফলে ‘গ্যাং, মাদক ও সন্ত্রাসের’ বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিরাপদ হয়েছে।
এ সময় একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়, যাতে ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে এল সালভাদরের berüchtigt কারাগারে পাঠানোর দৃশ্য দেখানো হয়। সঙ্গে বাজানো হয় নাটকীয় আবহসংগীত, এবং উপস্থিত জনতা উল্লাসে ফেটে পড়ে।
ট্রাম্প আরও বলেন, “ডেমোক্র্যাটরা চায় গণ অভিবাসন, আর আমরা দিচ্ছি গণ বহিষ্কার।” তিনি ১৭৯৮ সালের যুদ্ধকালীন আইন ব্যবহারের পক্ষে কথা বলেন, যা তার সরকারকে অভিবাসীদের দ্রুত বিতাড়নের ক্ষমতা দেয়।
বিচার বিভাগকে উদ্দেশ্য করে তিনি অভিযোগ করেন, “কিছু কমিউনিস্ট উগ্র বিচারক আমার পথ আটকে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিজেরা নিতে চায়। এটা হতে দেওয়া যায় না। তারা আমেরিকাকে ধ্বংস করতে চায়। কিন্তু আমি তাদের থামাবো, আমেরিকাকে রক্ষা করবো।”
ট্রাম্পের এই বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন তুলেছে। বিরোধী দলগুলোর দাবি, ট্রাম্প বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করতে চাইছেন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন মানবাধিকার কর্মীরা।