ভারত-পাকিস্তানের চলমান দ্বন্দ্ব যেকোনো সময় যুদ্ধে রূপ পারে। দুই দেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি এমনই ইঙ্গিত দেয়। আর ভারতীয় নৌবাহিনী আরব সাগরে একাধিক অ্যান্টি-শিপ (জাহাজ বিধ্বংসী) মিসাইলের সফল পরীক্ষা চালিয়ে এটিকে দেশের সমুদ্র নিরাপত্তা এবং যুদ্ধ প্রস্তুতির ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক বলে জানিয়েছে।
রোববার (২৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরব সাগরে যুদ্ধজাহাজ থেকে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের এবং ভূমি-বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের একাধিক দৃশ্য নৌবাহিনী শেয়ার করেছে।
ভারতীয় নৌবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে জানিয়েছে, ‘ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজগুলো দীর্ঘ পরিসরের নির্ভুল আক্রমণের জন্য প্ল্যাটফর্ম, সিস্টেম এবং ক্রুদের প্রস্তুতি পুনরায় যাচাই এবং প্রদর্শনের জন্য একাধিক সফল অ্যান্টি-শিপ মিসাইল পরীক্ষা চালিয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনী জাতির সমুদ্র স্বার্থ রক্ষায় যেকোনো সময়, যেকোনো স্থানে, যেকোনো পরিস্থিতিতে যুদ্ধ প্রস্তুত, বিশ্বাসযোগ্য এবং ভবিষ্যৎ প্রস্তুত।’
এনডিটিভি বলছে, এই পরীক্ষাগুলো জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে ২২ এপ্রিল সংঘটিত হামলার পরিপ্রেক্ষিতে পরিচালিত হয়েছে, যেখানে ২৬ জন নিহত হন। এই হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তান নৌবাহিনীর আরব সাগরে নির্ধারিত সারফেস-টু-সারফেস মিসাইল পরীক্ষার আগেই ভারতীয় নৌবাহিনী এই পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করছে।
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে হামলার জেরে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের বিষয়টি। অপরদিকে, পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে সব দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্থগিত করে সিন্ধু নদের পানি বন্ধ করা যুদ্ধের সামিল হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
উত্তেজনার মধ্যেই গত তিন রাত সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।