খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকিকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন নোমানের ছাত্রত্ব ও সনদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সিন্ডিকেট সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, অভিযুক্ত মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে এবং তার জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। সভা শেষে তিনি বলেন, “তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরই চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত তার ছাত্রত্ব ও সনদ স্থগিত রাখা হয়েছে।”
এর আগে, শুক্রবার রাতে গাছ থেকে আম পাড়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষক হাসান মাহমুদ সাকির সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে বাংলা ২০১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন নোমান তাকে শারীরিকভাবে আঘাত করেন। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রাতেই শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং অভিযুক্ত মোবারক হোসেন নোমানকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।