রেজওয়ান আহমেদ সাজ্জাদ, খুবি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় উপকেন্দ্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে সশরীরে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে যানজটে বিপাকে পড়েছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
পরীক্ষা চলাকালে উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে উপাচার্য বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় উপকেন্দ্র ও এর অধীন শহরে আরও ৩টি কেন্দ্রে অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে এটা ভালো সিদ্ধান্ত। কারণ, এই হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ঢাকায় যেতে যে ভোগান্তি ও আর্থিক ব্যয় হয় তা থেকে এবার তারা পরিত্রাণ পাচ্ছেন। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা খুবই ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন এই বিভাগীয় শহরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার বিকেন্দ্রীকরণ নিয়ে।
এদিকে, পরীক্ষা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন রাস্তায় যানবহন চলাচলের ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষা চলাকালীন জিরোপয়েন্ট থেকে গল্লামারী পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকার কথা থাকলেও সরেজমিনে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। ফলে কিছু সময় ধরে রাস্তায় জানজট লেগে থাকায় চলাচলের জায়গাও সরু হয়ে যায়।
যশোর থেকে আসা এক ভর্তি পরীক্ষার্থী মাহামুদুল হাসান বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে গতকালও দেখলাম যে যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। কিন্তু এসে দেখলাম তার বিপরীত। একদিকে সকালে যশোর থেকে জার্নি করে এসে আবার তীব্র রোদে প্রায় ২০ মিনিট ধরে এইমাত্র গেটে পৌঁছালাম। গরমে এখন এত ক্লান্ত লাগতেছে কি পরীক্ষা দিবো জানি না !
সাথে আসা অভিভাবকরাও এটি নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। একজন অভিভাবক বলেন, একটু সময় রাস্তা বন্ধ রেখে ভিন্ন রাস্তা ব্যবহার করলে কি এমন ক্ষতি হতো? আমি তো এই ভীড় ঠেলে আসতে গিয়ে এক প্রকার অসুস্থ হয়ে গেলাম।
শুধু পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকরাই নয়, খুবি শিক্ষার্থীদেরও অনেকে সমলোচনা করছেন বিষয়টি নিয়ে। এটি মাঠ প্রশাসনের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়হীনতার জন্য এমনটা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে হরিণটানা থানার ওসি মো. এনামুল হক বলেন, ‘যানজটে সাময়িক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলেও পরবর্তীতে তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। ওই সময়ে গল্লামারী ব্রিজের কাছে সাময়িক যানজটের সগুলো বাইপাস বন্ধ থাকায় সোনাডাঙ্গা থেকে জয় বাংলা মোড়ে কিছু গাড়ি ঢুকে পড়েছিল। কিন্তও পরে সাচিবুনিয়া রোডের দিকে ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের গাড়ি যেমন কেউ প্রাইভেট, বাস বা মাইক্রো ভাড়া করে এসেছেন তাদের গাড়িগুলো ঢুকেছে বেশি।’
উল্লেখ্য, আগামী ০২ অক্টোবর ‘খ’ ইউনিট, ০৯ অক্টোবর ‘চ’ ইউনিট, ২২ অক্টোবর ‘গ’ ইউনিট এবং ২৩ অক্টোবর ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।