খুলনায় ঘেরের পানিতে সাতার কাটছে নানা প্রজাতির মাছ। পাড়ে কৃষক অফসিজনের (বর্ষা কালিন) তরমুজের চাষ করেছেন।
মাচায় ঝুলছে রসালো ফল তরমুজ। বাতাসে দোল খাচ্ছে এই ফল। যাতে ছিড়ে না পড়ে তার জন্য নেটের ব্যাগ দিয়ে বেঁধে দেয়া হয়েছে। ঘেরের পাড়ের জমি আগে পতিত থাকতো। এখন এখানে ফলছে সোনালী ফসল তরমুজ। খরায় কৃষক লোকসান দিলেও এই মৌসুমে লাভের স্বপ্ন দেখছেন। গত বছরের চেয়ে এ বছর আবাদ বেশী করা হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছেন, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে খুলনা কৃষি অঞ্চলে ৪৮৩ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ করা হয়েছে ১০২১ হেক্টর জমি। বেশী আবাদ করা হয়েছে ৫৩৮ হেক্টর জমি এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৫৫২৯মেট্রিকটন। এর মধ্যে খুলনা জেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রার ছিল ৪০০ হেক্টর।
আবাদ করা হয়েছে ৯২৯ হেক্টর। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১৩২৮০ মেট্রিকটন। বাগেরহাট জেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রার ছিল ৪১ মেট্রিকটন। এই জেলায় ওই পরিমান জমি আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১১৭০ মেট্রিকটন।
সাতক্ষীরা জেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রার ছিল ২৭ হেক্টর। আবাদ করা হয়েছে ৩৬ হেক্টর জমি। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৬৮৯ মেট্রিকটন এবং নড়াইল জেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রার ছিল ১৫ হেক্টর। এই জেলায় ওই পরিমার আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩৯০ মেট্রিকটন নির্ধরণ করা হয়েছে।
মাটি ও সার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ঘেরের পাড়ে রোপন করেছেন হাইব্রিড জাতের হানি কুইন, পাকিজা ও ইয়লো ড্রাগন। এর মধ্যে হলুদ বর্ণের তরমুজও রয়েছে। ইতো মধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে এই রসালো ফল তরমুজ।
বর্ষা মৌসুমে সেচের প্রয়োজন হয় না। এখন পানির লবণ কমেছে। ফলন ভালো হয়েছে। কৃষকরা আশায় বুক বেঁধে রয়েছেন লাভের জন্য। ঘেরের পাড়ে সবুজের সমরোহ। মাচার ওপরে সবুজের সমরহ। আর নীচে হাজারো তরমুজ। নিয়মিত সার ও কীট নাশক প্রয়োগ করা হয়েছে।
সরকার দক্ষিন পশ্চিম অঞ্চলে কৃষি বিপ্লব ঘটানোর জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কৃষক ঘেরের পাড়ে তরমুজ চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে অধিক দামে বিভিন্ন হাট বাজরে বিক্রি করছেন।
কৃষি সম্প্রষারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ফলন বাম্পার হবে। এই মৌসুমে বৃষ্টি হওয়ার কারণে সেচ দিতে হয় না। গত বছরের চেয়ে এ বছর বেশী আবাদ করা হয়েছে।