বাংলার পাট বিশ্বমাত ,পাট শিল্পের অবদান স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বৃহস্পতিবার ৪ জুন সকাল ১০টায় খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শহীদ জোবায়েদ আলী মিলনায়তন, পাট চাষীদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত প্রশিক্ষণে সভায় সভাপতিত্ব করেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন,প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পাট অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ লুৎফর রহমান শিকদার,শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন খুলনা জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা ও পাট অধিদপ্তরের বাসুদেব হালদার, বক্তব্য দেন খুলনা দৌলতপুর পাট অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোঃ মুজিবুর রহমান, ডুমুরিয়া উপজেলা উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা নিলয় মল্লিক, প্রমুখ কোরআন তেলাওয়াত করেন,মাহাবুবুর রহমান, গীতা পাঠ করেন সূর্য কান্ত।
বক্তব্য বক্তরা বলেন কৃষক সাধারণতঃ তার পাট আঁশ ফসলের জমির এক পার্শ্বে প্রায় ৫-৬% জমি বীজ ফসলের জন্য রেখে দেয়। এই পরিমান জমি থেকে উৎপাদিত বীজ পরবর্তী বছর সে নিজে আঁশ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করে এবং অতিরিক্ত বীজ বাজারে বা অন্য কৃষকের নিকট বিক্রি করে।
এই পদ্ধতিতে উৎপাদিত বীজের ফসল বহুদিন (প্রায় ৯ মাস) মাঠে থাকে, ফলে ঝড়, বৃষ্টি, শীত, পোকা মাকড় ও নানাবিধ প্রতিকূলতা ভোগ করে বিধায় বীজের গুনগত মান ও ফলন দুটোই কম হয়। আঁশ ফসলের সময়ে বপন করে যে সব জমিতে পাট বীজ ফসল চাষ করা হয় ঐ সব জমিতে পাট গাছ বড় হওয়ার পর প্রধান করণীয় হচ্ছে বিজাত এবং রোগাক্রান্ত গাছ বাছাই করে তুলে ফেলা। এছাড়া ঝড় ঝাপটা থেকে গাছগুলিকে রক্ষা করা এবং গাছের হেলে পরা রোধ করার জন্য বেশ কটি করে গাছের আগা একত্রে বেধে দিতে হবে। পাট বীজ ফসলের জমিতে অন্তবর্তীকালীন পরিচর্যাগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো আগাছা দমন: ইউরিয়া সারের উপরি প্রয়োগ এবং রোগ ও পোকা মাকড় দমন করা। বিজেআরআই উদ্ভাবিত উন্নত পদ্ধতিতে পাট বীজের উৎপাদন ব্যবস্থা বীজের মান ও ফলনের স্বার্থে এক বিরাট অবদান রেখেছে।
বীজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে নাবী পাট বীজ উৎপাদন পদ্ধতি আধুনিক পদ্ধতি হিসাবে বহুল পরিচিত। মোটামুটিভাবে নিম্নের তিনটি পদ্ধতিতে পাট বীজ উৎপাদন করা যায়। পদ্ধতিগুলো হচ্ছে।
নাবী পদ্ধতিতে বীজ বপনের সময় হলো শ্রাবণ-ভাদ্র মাস। সে কারণেই মোটামুটি উঁচু জমি, যেখানে বৃষ্টি বা বণ্যার পানি জমে না অথবা দ্রুত নিষ্কাশনযোগ্য এমন জমি নির্বাচন করতে হবে। মাটি দো-আঁশ থেকে বেলে দো-আঁশ প্রকৃতির হওয়া ভাল। লক্ষ্য রাখতে হবে মাটিতে যেন পর্যাপ্ত জৈব সার ও ফসল উঠা পর্যন্ত রস থাকে। জো বুঝে জমি তৈরী করতে হবে। চাষের সময় আগাছা ভালভাবে পরিস্কার করতে হবে। জমি তৈরীর সময় আগাছা পরিষ্কার না করলে জমিতে আগাছার পরিমান বেশী হয় এবং নিড়ানী খরচ বেশী পড়ে।
পাটের বীজ শ্রাবণ মাসের ৩য় সপ্তাহ থেকে ভাদ্রের ১৫ (আগষ্ট) তারিখ পর্যন্ত বপন করা চলে। তবে, দেশী পাট বীজ শ্রাবণ (মধ্য জুলাই- মধ্য আগষ্ট) মাসের মধ্যে এবং তোষা পাটের বীজ ১৫ ভাদ্রের (৩০ শে আগষ্ট) মধ্যে বপন করলে অধিক ফলন পাওয়া যায়।