খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগম্ভীরতা ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শনিবার (আজ) পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সড়কদ্বীপ ‘ঈদ মোবারক’ খচিত বাংলা ও আরবি ব্যানারে সজ্জিত করা হয়।ঈদুল আযহার প্রধান জামাত সকাল সাড়ে সাতটায় খুলনা টাউন জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ সালেহ। একই মসজিদে সকাল সাড়ে আটটায় দ্বিতীয় জামাত এবং সকাল ১০টায় তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ইমামতি করেন হাফেজ মাওলানা নসরুল্লাহ।প্রধান জামাতে অংশ নেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।খুলনা আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মডেল মসজিদেও সকাল সাড়ে সাতটায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ঈদের জামাত আয়োজন করা হয়।এছাড়াও নিউমার্কেট সংলগ্ন বায়তুন-নূর জামে মসজিদ, জিলা স্কুল জামে মসজিদ, জেলা পুলিশ লাইন, ময়লাপোতা বায়তুল আমান, মুন্সিপাড়া, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মাঠ, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, ইসলামাবাদ ঈদগাহ ময়দান, খালিশপুর, পিটিআই, জাতিসংঘ শিশু পার্ক, কেডিএ, নিরালা, সিদ্দিকিয়া ও দারুল উলুম মাদ্রাসা, ইকবালনগর, আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল, রূপসা, ফেরিঘাট, গোবরচাকা, আড়ংঘাটা, নতুন রাস্তা, দক্ষিণ কাশিপুর, টুটপাড়া, মিয়াপাড়া, শেখপাড়া, বসুপাড়া, জোড়াগেট সিএন্ডবি কলোনি, বয়রা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন, খালিশপুর ক্রিসেন্ট জুট মিলস, বিএল কলেজ, দেয়ানা ঈদগাহ, সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকা, খানজাহান নগর খালাসী মাদ্রাসা, মহেশ্বরপাশা, দৌলতপুর, খালিশপুর ও খানজাহান আলী থানার ঈদগাহসহ নগরীর বিভিন্ন মসজিদ ও ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, ছোটমনি নিবাস, প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, আশ্রয়কেন্দ্র, সেফ হোমস, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়।এ উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্র বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করে এবং স্থানীয় পত্রিকাগুলো বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে। খুলনার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হয়।
