মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৫ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচির আলোকে খুলনা জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
কর্মসূচি অনুযায়ী ২৬ মার্চ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে গল্ল¬¬ামারী শহিদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হবে। প্রত্যুষে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হবে। ঐদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি ভবন ও প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
সকাল নয়টায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে বিভাগীয় কমিশনার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। একই স্থানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে। ২৬ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টায় খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। সুবিধাজনক সময়ে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। খুলনা সিটি কর্পোরেশন সুবিধাজনক সময়ে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। সুবিধাজনক সময়ে শিশু একাডেমিতে শিশুদের রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
২৬ মার্চ সুবিধাজনক সময়ে সিনেমা হলসমূহে ও উন্মুক্তস্থানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন/প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হবে। সুবিধাজনক সময়ে হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী কল্যাণ কেন্দ্র, শিশু দিবাযতœ কেন্দ্র, শিশু পরিবার ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বাদযোহর বা সুবিধাজনক সময়ে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। ঐদিন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ রকেট ঘাটে নৌ-বাহিনীর জাহাজ জনসাধারণের দর্শনের জন্য উম্মুক্ত রাখা হবে।
সঠিক মাপের জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ও রঙিন নিশান দ্বারা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ সজ্জিত করা হবে। সন্ধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি ভবন ও স্থাপনাসমূহে আলোজসজ্জা করা হবে। ২৩ মার্চ পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া (টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, ফুটবল ম্যাচ ও কাবাডি) প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। খুলনার সকল পার্ক, জাদুঘর, গণহত্যা জাদুঘর শিশুদের জন্য বিনা টিকিটে সকল নয়টা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত উন্মুক্ত রাখা হবে।