আগামী বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে খুলনা জেলায় শুরু হচ্ছে এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পর্যায়ের পরীক্ষা। এ বছর খুলনায় মোট ২৭ হাজার ৫৯৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় দুই হাজার কম। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ২৯ হাজার ৫৪৫ জন। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আর্থিক সংকটের কারণে পরীক্ষার্থী সংখ্যা কমে গেছে।
পরীক্ষাগুলো জেলার ৮৩টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষাকে ঘিরে জেলা প্রশাসন গত ১২ মার্চ একটি প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে, যেখানে পরীক্ষার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ৩৭টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সভায় জানানো হয়, কোনো কেন্দ্রে স্মার্টফোন ব্যবহার করা যাবে না, শুধুমাত্র বাটন ফোন ব্যবহার করা যাবে। পরীক্ষার্থীদের আসন নির্ধারণ করা হয়েছে জেড পদ্ধতিতে। প্রতিটি কেন্দ্রে একটি করে মেডিকেল টিম রাখা হয়েছে এবং সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। সাংবাদিকরা দল বেঁধে কেন্দ্র পরিদর্শন করতে পারবেন না, বরং নির্দিষ্টভাবে কেন্দ্র সচিবদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রশ্নপত্রের সেড কোড নির্দিষ্ট গ্রুপে শেয়ার করা হবে এবং তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা মিলিয়ে দেখবেন।
পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর তালিকায় রয়েছে খুলনা জিলা স্কুল, মুহসিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাবলিক কলেজ, বাজুয়া রি-ইউনিয়ন, পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, কপিলমুনি সহচরী বিদ্যা মন্দির, বটিয়াঘাটা থানা হেড কোয়ার্টার, শাহপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ডুমুরিয়া এনজিসি ও এনসিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ফুলতলা রি-ইউনিয়ন, ক্যান্টমেন্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ আরও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও খুলনা আলিয়া কামিল মাদ্রাসা, চুকনগর হাসানিয়া মাদ্রাসা, কয়রা মদিনাবাদ টেকনিক্যাল কলেজ, হাড়িখালি ট্রেনিং ইন্সটিটিউটসহ বিভিন্ন মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসন, শিক্ষা বিভাগ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরকে একযোগে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।