খাদ্য উৎপাদনে বোরো ধান বিশেষ ভূমিকা রাখছে। নিবিড় ফসল উৎপাদন কর্মসূচির ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে রবি মৌসুমে খুলনা অঞ্চলে বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। ৯৯শতাংশ জমির ধান কর্তন করা হয়েছে। দুর্যোগ আসার আগেই কৃষক তার স্বপ্নের কাঙ্খিত ফসল ঘরে তুলতে পেরেছেন।
সূত্র জানিয়েছেন,এই অঞ্চলে আবাদ করা হয়েছে ২লাখ ৫৭ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমি। যা গত বছরের চেয়ে বেশী। চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে ১১লাখ ৩৮হাজার ৮৭১মেট্রিকটন। চলও উৎপাদন বেশী হবে। ধান কর্তন করা হয়েছে ২লাখ ৫৪ হাজার ৬৮৭ হেক্টর। যা ৯৯শতাংশ। খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও নড়াইল জেলা নিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চল।
এই অঞ্চলের মধ্যে খুলনা জেলায় জমি আবাদ করা হয়েছে ৬৪হাজার ৮৬০হেক্টর। কর্তন করা হয়েছে ৬৪হাজার ৭১১ হেক্টর। চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা ২লাখ ৯০হাজার ৪৭১ মেট্টিকটন। বাগেরহাট জেলায় জমি আবাদ করা হয়েছে ৬২হাজার ৭১৪ হেক্টর। কর্তন করা হয়েছে ৬১হাজার ৭৭০ হেক্টর। চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা ২লাখ ৮৮হাজার ৭৫৩ মেট্টিকটন।
সাতক্ষীরা জেলায় জমি আবাদ করা হয়েছে ৭৯হাজার ৭৭৬হেক্টর। কর্তন করা হয়েছে ৭৮হাজার ৫৭৯ হেক্টর। চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা ৩লাখ ৩৬হাজার ৭৭১ মেট্টিকটন এবং নড়াইল জেলায় জমি আবাদ করা হয়েছে ৫০হাজার ২৩০ হেক্টর। কর্তন করা হয়েছে ৪৯হাজার ৬২৭ হেক্টর। চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা ধরা হয়েছে ২লাখ ২২হাজার ৮৭৬ মেট্টিকটন।
সূত্র জানিয়েছেন, আবহাওয়া অনূুকূলে থাকলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এবছর এখনো সেচ সংকট দেখা দেয়নি। সরকার প্রণোদনা দেয়ায় কৃষকরা আগ্রহী হয়ে চাষাবাদে এগিয়ে আসছেন। হাইব্রিড ধান আবাদ করছেন ৮১হাজার কৃষক ও উচ্চ ফলনশীন ধানের আবাদ করছেন ৭৭ হাজার কৃষক। হাইব্রিড ধানের দাম বেশী হওয়ার কারণে সরকার প্রণোদনা হিসেবে জন প্রতি ২কেজি করে ১লাখ ৬২হাজার কেজি এবং এবং উচ্চ ফলনশীল জন প্রতি ৫কেজি করে ৩লাখ ৮৫হাজার কেজি ধান দেয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোহন কুমার ঘোষ বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়ে যাবে। শীত কম থাকায় চারা ভালো হয়েছে। বোরো ধানে খাদ্য উৎপাদনে বড় ভূমিকা রাখে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মতে এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখা যাবেনা। কৃষক সরকারী প্রণোদনা পাচ্ছেন। যাতে তারা উৎসাহি হয়ে কৃষি কাজে এগিয়ে আসেন। তিনি পতিত জমি ফেলে না রেখে কৃষি উৎপাদনে কৃষকদের প্রতি আহবান জানান।