আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে খুলনা বিভাগে ১৪,৩৪,৫৭৮টি কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে, যেখানে চাহিদা প্রায় ১০,৪৬,৬৮৯টি। এ হিসেবে চাহিদা পূরণের পরও এবার অতিরিক্ত থাকবে প্রায় ৩,৮৭,৮৮৯টি পশু।
খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের (ডিওএলএস) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বলেন, “এবার শতভাগ চাহিদা স্থানীয়ভাবে পালিত পশু দিয়েই পূরণ সম্ভব। যা আগের বছরগুলোতে ছিল মাত্র ৪০ শতাংশের নিচে।”
“তাই এবার কোরবানির জন্য বিদেশ থেকে পশু আমদানির কোনো প্রয়োজন হবে না,” তিনি যোগ করেন।
তিনি আরও জানান, খুলনা বিভাগের ১০টি জেলায় পশু পালনের হার বেড়েছে, কারণ খামারিরা এতে লাভজনক সম্ভাবনা দেখছেন।
বিভাগে মোট ১,২৯,৬২৩টি খামারে গবাদিপশু লালন-পালন করা হয়েছে। অনেক খামারি আবার পারিবারিকভাবে গৃহস্থালিতেই পশু পালন করেছেন।
ডা. লুৎফর রহমান আরও বলেন, “ঈদুল আজহার আগেই ১০ জেলার অস্থায়ী পশুর হাট ও খুলনা শহরে বিপুল সংখ্যক কোরবানির পশু বাজারে আসবে।”
এবার প্রস্তুতকৃত পশুগুলোর মধ্যে রয়েছে:
৪,১৮,৮৪৮টি বলদ
৪৫,৯১৮টি ষাঁড়
৭৩,৬৬৫টি গরু
৬,৩১৭টি মহিষ
৮,৩৮,৬০৩টি ছাগল
৫১,১৩২টি ভেড়া
৯৫টি অন্যান্য পশু
খাদ্যের দাম বাড়ায় এবার পশুর দাম কিছুটা বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রূপসা উপজেলার শিরগাটি গ্রামের খামারি মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, “গত বছর ঈদের আগে আমি ১৫টি বলদ ও ১৬টি ছাগল বিক্রি করে প্রায় ৪.৬০ লাখ টাকা লাভ করি। এবার ২০টির বেশি বলদ ও ২৫টির বেশি ছাগল বিক্রির আশা করছি।”
গত বছর খুলনা বিভাগে ৮.২৯ লাখ চাহিদার বিপরীতে ১১.৮২ লাখ কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছিল, যার ফলে প্রায় ৩.৫৪ লাখ পশু অতিরিক্ত ছিল।