বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যেও দুই একজন আছেন, যারা অন্তর্বর্তী সরকার ও গণঅভ্যুত্থান-বিপ্লবের যে মূল স্পিরিট সেটাকে ব্যাহত করছে, তাদের সরানোর কথা বলেছি।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপ শেষে শনিবার বিকালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। সংলাপে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবি পেশ করে বিএনপি।
ফখরুল বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যারা তাদের দোসর হয়ে কাজ করেছে, সহায়তা করেছে এবং লুটপাট, অনাচার, অত্যাচার ও মানুষের ওপর নির্যাতন করেছে তাদের বেশিরভাগই এখনো পর্যন্ত স্ব স্ব জায়গায় বহাল তবিয়তে রয়েছে। অবিলম্বে তাদের সরিয়ে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের আনার কথা বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘সরকারে চুক্তিভিক্তিক কিছু নিয়োগ বাতিল করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছি।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে গত ১৫ বছর ধরে যারা পদবঞ্চিত হয়েছে, তাদের ভুতাপেক্ষ পদোন্নতি নিশ্চিত করার কথা বলেছি।’
নির্বাচনের বিষয়ে কী ধরনের অলোচনা হয়েছে-সে বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা নির্বাচন বিষয়ে কথা বলেছি। নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার বিষয়ে বলেছি। আমরা বলেছি, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন স্থগিত করে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতের ভিত্তিতে অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কবে হবে সে বিষয়ে রোডম্যাপ দিতে বলেছি।’
সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামে সহিংসতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের ব্যাপারটা গভীরভাবে দেখে সেখানে কারা এই ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা বলেছি।’
এর আগে বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপ বসেন বিএনপির ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে সংলাপে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ড. আব্দুল মঈন খান ও সালাহউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।