দৈনিক মজুরিতে নিয়োগ পাওয়া একজন শ্রমিকের কাজের মেয়াদ ১৩ বছর পূর্ণ হলে তাকে রাজস্ব খাতে আনার নীতিমালা রয়েছে। কিন্তু যুগের পর যুগ চাকরির পরও গণপূর্ত বিভাগের হাজিরাভিত্তিক শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী হচ্ছে না। চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলন ছয় দিনে গড়িয়েছে।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়। গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে একই দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন তারা।
নিজেদের অবস্থার কথা জানাতে গিয়ে আন্দোলনকারীরা বলেন, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে আসছি। কিন্তু আমাদের শ্রমের মূল্যায়ন করা হয়নি কখনও। হাইকোর্টের রায়ের আলোকে আমাদের এক হাজার ৫১৭ জন কর্মচারীর মধ্যে থেকে ৪২ জনকে চাকরিতে স্থায়ী করা হয়েছে। কিন্তু দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীর দফতর থেকে সেই চিঠির কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
হাজিরাভিত্তিক কাজ করা কর্মচারীদের পক্ষ থেকে মনির হোসেন শোভন বলেন, আমরা গণপূর্ত অধিদফতরের অধীনে দৈনিক ভাউচারভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে দীর্ঘ ১৫ থেকে ২০ বছর বা তার থেকেও বেশি সময় ধরে কাজ করছি। আমাদের যে পরিমাণ পারিশ্রমিক দেওয়া হয়, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছি। হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেও আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তুচ্ছতাচ্ছিল্য নিয়ে বেঁচে আছি।
এসময় অন্যরাও একই দাবি জানিয়ে বলেন, আশ্বাস দিয়েও আমাদের দাবি পূরণ করা হচ্ছে না। বরং আমাদের নামেই মামলা দিয়ে আমাদেরই গ্রেফতার করার পাঁয়তারা চালিয়ে আসছে গণপূর্তে একটি চক্র।
তারা বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদের স্কুলে পড়াতে পারছি না। মাসে একবেলা ভালোমন্দ খাওয়াতে পারি না। ঈদ-চাঁদে একটা ভালো জামা কিনে দিতে পারি না। মানুষ আমাদের নিয়ে হাসাহাসি করে। বলে, কিসের চাকরি করি? একটা ভালো জামা পরতে পারি না। এটা কিসের সরকারি চাকরি? বাসা ভাড়া দিতে হিমশিম খেতে হয়।


