গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর দিনভর হামলায় আরও অন্তত ৫১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা ও তুরস্কের আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে প্রথম হামলা হয়। এতে ৯ জন নিহত হন। খান ইউনিসের কাছাকাছি আল শরিফ শরণার্থী শিবিরেও পৃথক হামলায় প্রাণ হারান আরও ৪ জন।
ওইদিন গাজা সিটির বিভিন্ন অংশে অন্তত ১৯ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে মধ্য গাজায় ৯ জন, দক্ষিণে ৩ জন এবং উত্তর গাজায় ৭ জন ছিলেন। এছাড়া জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ১০ জন এবং বেইত লাহিয়ায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর টানা অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজায় ৫৩ হাজার ৩০০ জন নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১৬ হাজার ৪১৬। নিহত ও আহতদের মধ্যে ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত এবং ২৫১ জন জিম্মি হন।
জিম্মিদের উদ্ধারের লক্ষ্য দেখিয়ে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী অভিযানে নামে। যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও গত ১৮ মার্চ থেকে দ্বিতীয় দফায় হামলা শুরু হয়। এই পর্বে ৩৮ দিনে মারা গেছেন আরও ২ হাজার ৬০ জন এবং আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৭৫ জনের বেশি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এখনও প্রায় ৩৫ জন জিম্মি জীবিত আছেন বলে তারা ধারণা করে। সামরিক অভিযান চালিয়ে তাদের মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
অপরদিকে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানালেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসকে সম্পূর্ণ নির্মূল না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে।
ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত আইসিজেতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা হয়েছে। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি