যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় তীব্র শীতের কারণে কমপক্ষে ছয় নবজাতকের প্রাণহানি ঘটেছে। মঙ্গলবার উপত্যকার পেশেন্টস ফ্রেন্ডস বেনিভল্যান্ট সোসাইটি হাসপাতালের (পিএফবিএস) স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাঈদ সালেহ এক ভিডিও বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, গত দুই সপ্তাহে উপত্যকার ওই হাসপাতালে নবজাতক ৮ শিশুকে ভর্তি করা হয়েছিল। তারা তীব্র শীতজনিত নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছিল। পরে তাদের মধ্যে অন্তত ছয় শিশু মারা গেছে।
হাসপাতালে নবজাতক শিশুদের প্রাণহানির এই ঘটনা ফিলিস্তিনিদের জীবনযাপনের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। ইসরায়েলি যুদ্ধে বিধ্বস্ত এই উপ্যতকার লাখ লাখ মানুষ বর্তমানে তাঁবুতে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। অনেকে ইসরায়েলি বোমায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে অবস্থান করছেন। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বয়ে যাওয়া তীব্র শীত নিবারণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেই তাদের।
গাজার বিভিন্ন হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ইসরায়েল ও হামাসের মাঝে সংঘাতের মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি ইসরায়েলি বিমান হামলায় গৃহহীন হয়ে পড়া ২ লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি পরিবারের জন্য জরুরিভিত্তিতে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তারা তীব্র ঠাণ্ডা থেকে লোকজন ও ছোট শিশুদের সুরক্ষার জন্য জ্বালানি সরবরাহেরও আহ্বান জানিয়েছেন। গত প্রায় ১৬ মাস ধরে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের মাঝে যুদ্ধের সাময়িক অবসান ঘটেছে গত ১৯ জানুয়ারি।
ওই দিন থেকে দুই পক্ষের মাঝে বহুল আকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। এই চুক্তির আওতায় ইতোমধ্যে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি বন্দী এবং হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তি মিলেছে।
তবে উভয়পক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগও উঠেছে। গত সপ্তাহে নির্ধারিত সময়ে জিম্মিদের মুক্তি স্থগিত করার হুমকি দিয়েছিল হামাস। ইসরায়েল বিধ্বস্ত উপত্যকায় ভাসমান বাড়ি সরবরাহে বাধা দিচ্ছে অভিযোগ তুলে ওই হুমকি দেয় হামাস।
সূত্র: রয়টার্স।