ইসরায়েলের নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান আরও জোরালো করার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে এ ঘোষণা দেন তিনি।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি আইডিএফকে দৃঢ় প্রতিক্রিয়া এবং হামাসের ওপর চাপ আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছি। আমরা পুনর্জন্মের যুদ্ধ-এ আছি, সাতটি ফ্রন্টের যুদ্ধে আছি। এই যুদ্ধে অনেক বড় মূল্য দিতে হচ্ছে। তারপরও আমাদের অস্তিত্বের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।’
হামাসের কোনো ধরণের শর্ত মেনে গাজায় আগ্রাসন থামানো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, হামাসের শর্ত মেনে এ মুহূর্তে যুদ্ধ বন্ধ করে দিলে এতদিনের সব অর্জন ধুলোয় মিশে যাবে।
রাফাহ দখল, ফিলাডেলফিয়া করিডোরের নিয়ন্ত্রণ, হামাসের শীর্ষ নেতাদের হত্যা না করলে এ যুদ্ধের যাত্রা কঠিন হত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সম্প্রতি ইসরায়েল মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে গাজার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, তারা অবিলম্বে এমন একটি চুক্তির জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত, যেখানে যুদ্ধের অবসান এবং ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে বাকি সকল জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হবে।
এদিকে, শনিবার ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকায় আরও ৫২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, শনিবার খান ইউনিসের মাওয়াসি শরণার্থী ক্যাম্প বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনারা। যেখানে যুদ্ধের ভয়ে আশ্রয় নিয়েছিল হাজারো পরিবার।
একই দিনে আজ-জাওয়াইদা ও বেইত হানুনে আরও হামলা চালিয়েছে নেতানিয়াহু বাহিনী। আলাদা এসব হামলার ঘটনায় নিহত হয়েছেন অনেকেই। গাজার পাশাপাশি দখলকৃত পশ্চিম তীরেও চলছে সমান তাণ্ডব। তুলকারেমের নূর শামস ক্যাম্পে বড় ধরনের অভিযানে গুলি, বিস্ফোরণ, গ্রেনেড হামলা সবই চলছে।