যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ড গাজার সরকার যৌথভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে ঐকমত্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী দুটি গোষ্ঠী হামাস ও ফাতাহ। মিসরের রাজধানী কায়রোয় গোষ্ঠী দুটির শীর্ষ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র রোববার লেবাননের সম্প্রচারমাধ্যম আল-মায়েদিনকে বলেছেন, এ বিষয়ে হামাস ও ফাতাহের মধ্যে মিসরের রাজধানীতে যে আলোচনা হয়েছে তা ইতিবাচক।
গাজায় ইসরায়েল ও অবরুদ্ধ উপত্যকাটির শাসকগোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছে মিসর। মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছেন দেশটির কর্মকর্তারা। এর অংশ হিসেবে যুদ্ধের পর গাজা কেমন হবে, তা নির্ধারণে হামাসের সঙ্গে অবরুদ্ধ পশ্চিম তীরের শাসকগোষ্ঠী ফাতাহকে আলোচনার টেবিলে বসিয়েছে মিসর।
সূত্রটি জানিয়েছে, গাজা শাসনের লক্ষ্যে একটি কৌশলগত প্রশাসনিক কাঠামোর বিষয়ে মৌলিক অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি বিতর্কিত বিষয় রয়ে গেছে। এই বিষয়ে উভয় পক্ষ আরও আলোচনা চালিয়ে যাবে বলেও জানিয়েছে ওই সূত্র।
তবে হামাস-ফাতাহ ঐক্যের পরও একটি বড় অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। কারণ, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজা উপত্যকায় এমন একটি প্রশাসন পরিচালনা করতে দেবে এর নিশ্চয়তা নেই। এ ছাড়া আল মায়েদিনকে এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা থমকে আছে এবং এক দুষ্টচক্রে প্রবেশ করেছে। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, যুদ্ধবিরতির আংশিক প্রস্তাবটি আর কার্যকর নয়।
গত শনিবার রাতে ফাতাহর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্বাস জাকি আল-মায়েদিনকে বলেছেন, ফাতাহ ও হামাস ফিলিস্তিনের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল। তাদের মধ্যকার সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা ‘ফলপ্রসূ’ হয়েছে। ফাতাহের এই কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, এই দুই দলের মধ্যকার সহযোগিতা ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর যার নিজেদের অভিভাবকত্ব আরোপ করতে চায় তাদের পথ বন্ধ করে দেয়।
সূত্র জানিয়েছে, কোনো গোষ্ঠীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই, এমন মানুষজনকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। ইসরায়েলের হামলা বন্ধ হওয়ার পর গাজা কে শাসন করবে আর গাজার শাসনব্যবস্থা কেমন হবে, সেই বিষয় নিয়ে কাজ করবে এই কমিটি।