বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ইস্যুর বিষয়ে জাতিসংঘ জানিয়েছে, তারা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্থোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডোজারিক এমনটি জানান।
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি এবং র্যাবের নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে দুজন সাংবাদিক জানান, ১২টি মানবাধিকার সংস্থা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাংলাদেশ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে বাহিনীটির কয়েকজন কর্মকর্তাকে নিষিদ্ধ করেছে।
ওই সাংবাদিক মুখপাত্রের কাছে জানতে চান, এ বিষয়ে জাতিসংঘ কি উদ্বিগ্ন? বা জাতিসংঘ কি কোনো পদক্ষেপের কথা ভাবছে?
এমন প্রশ্নের উত্তরে মুখপাত্র ডোজারিক জানান, আমরা কেবলই খবরটি জানতে পেরেছি। আমরা অবশ্যই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখব। জাতিসংঘের একটি মানবাধিকার নীতি রয়েছে। আমরা অবশ্যই বাংলাদেশের এমন পরিস্থিতি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করব।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-কে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ১২টি মানবাধিকার সংস্থা। জাতিসংঘের শান্তি অপারেশন বিভাগের প্রতি তারা এই আহ্বান জানান। জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল জিন-পিয়েরে ল্যাক্রোইক্সের কাছে একটি চিঠির মাধ্যমে এই আহ্বান জানানো হয়েছে। এইচআরডাব্লিউ তাদের ওয়েবসাইটে বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই খবর দিয়েছে।
এই মানবাধিকার সংস্থাগুলো ব্যাপকভাবে র্যাবের নির্যাতনের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরাও নির্যাতন, জোরপূর্বক গুম এবং অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে র্যাব সদস্যদের জড়িত থাকার অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গত ৮ নভেম্বর এই চিঠি পাঠানো হয়েছিল।
পিএস/এনআই