কয়েকমাস আগে পরিবারসহ হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন সালমান খান। এরপর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকেন কিং খান। পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। জীবন রক্ষায় সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনুমতি পান মুম্বাই পুলিশের তরফ থেকে। শুধু তাই নয়, চলাফেরার জন্য কিনেছেন বুলেটপ্রুফ গাড়ি।
এবার পাঞ্জাব পুলিশ এক বিস্ফোরক তথ্য জানাল ভারতীয় গণমাধ্যমকে। গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নির্দেশে সালমানকে হত্যার সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছিল। প্রদেশটির পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজিপি) গৌরব যাদব বলেন, ‘মুসেওয়ালা খুনের তদন্তে নেমে আমরা জানতে পেরেছি, গ্রেফতার হওয়া অন্যতম অভিযুক্ত কপিল পণ্ডিত সচিন বিষ্ণোই ও সন্তোষ যাদবকে সঙ্গে নিয়ে সালমানকে হত্যা করতে মুম্বাই ঘুরে যান। আমরা সবাইকেই জিজ্ঞাসাবাদ করব। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এর সঙ্গে গ্যাংস্টার সম্পত নেহরা যুক্ত।’
পঞ্জাব পুলিশের প্রধান জানান, মুসেওয়ালা খুনে এখন পর্যন্ত ২৩ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মোট ৩৫ জন অভিযুক্তের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গৌরব বলেন, ‘গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রারের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলকে দিয়ে রেড কর্নার নোটিশ জারি করানো হয়েছে।’
শনিবার পঞ্জাব পুলিশ ঘোষণা করে, মুসেওয়ালা খুনে বড় সাফল্য পাওয়া গেছে। পুলিশ দীপক মুন্ডিকে গ্রেফতার করেছে। তার সঙ্গেই গ্রেফতার হয়েছেন দীপকের দুই সঙ্গী কপিল পণ্ডিত ও রাজিন্দর। তিন জনকেই ছয় দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
প্রসঙ্গত, পঞ্জাব সরকার নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার পরের দিনই মানসা জেলায় গাড়ি ঘিরে ধরে গুলি করে খুন করা হয় গায়ক-রাজনীতিবিদ সিধু মুসেওয়ালাকে। তারপরই প্রাণনাশের হুমকি পান সালমান।
পি এস / এন আই
