চকরিয়ায় স্পেশাল মৎস্য জোনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বদরখালীতে জমি নিতে পারেন। তবে চকরিয়ায় হলে আমি গিয়ে দেখেশুনে সিদ্ধান্ত নেবো।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকোয়াকালচার ও সি- ফুড শো এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
চকরিয়ায় মৎস্য মন্ত্রণালয়ের ৭ হাজার একর জমির মধ্যে একটা স্পেশাল মৎস্য জোনের দাবি জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আবদুর রহমান এবং স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান শ ম রেজাউল করিম। জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চকরিয়ায় যে জায়গার কথা বলা হলো। সেটা আগে দেখতে চাই। কারণ মহেশখালী, কক্সবাজার, কুতুবদিয়া, চকরিয়া, বদরখালী এসব এলাকায় বিরাট বিনিয়োগ চলছে। কক্সবাজার এমন সমুদ্র যেখানে ১২৪ কিলোমিটার লম্বা সি বিচ। এটাকে পর্যটনের জন্য আরও আকর্ষণীয় করতে চাই। সি রুটেও প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর বিরাট সম্ভাবনা, এটা আমরা আলোচনা করছি। মেরিন ড্রাইভও টেকনাফ পর্যন্ত নিয়ে যাবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু মাছ চাষের জন্য কতটুকু দেবো, দেখতে হবে। ৭ হাজার একর জমির কথা মন্ত্রী বলেছেন, আমি না দেখে এক ইঞ্চি জমিও দেবো না। ওটা কী কাজে লাগাতে পারি, আগে দেখবো। আর যদি মৎস্য চাষের জন্যই উপযুক্ত হয়, আপত্তি নেই। বদরখালীতে নিতে পারেন, আমি নিজে সেখানে গিয়েছি। আর চকরিয়ায় নিতে হলে গিয়ে দেখেশুনে উপযুক্ত মনে হলে দেবো।
বিশাল সমুদ্র সীমা কাজে লাগানোর জন্য দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের সমুদ্র থেকে খনিজ সম্পদ, সি উইড ও বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবো। আপনারা এখানে বিনিয়োগ করতে পারবেন। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করেছি। তারা চাইলে লভ্যাংশ নিয়ে যেতে পারেন। অথবা বাংলাদেশে ব্যাংকেও রাখতে পারবেন।
মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান শ ম রেজাউল করিমসহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন।