উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকার দেশ-বিদেশে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিন্তু করোনার এই সময়ে এসে নতুন নতুন উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদনে ভাটা পড়েছে।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। চলতি বছরের প্রায় সাড়ে তিনমাসে মাত্র চারটি একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই চার একনেকে নতুন ও সংশোধিত মিলিয়ে মোট ২৯টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রায় প্রত্যেক সপ্তাহেই একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০২০ সালে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে তখনো অনিয়মিতভাবে একনেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংক্রমণ কমলে ফের নিয়মিতভাবে একনেক চলেছে। কিন্তু ২০২১ সালের শুরু থেকেই একনেক সভা কম অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তথ্যমতে, চলতি বছর প্রথম একনেক অনুষ্ঠিত হয় ৫ জানুয়ারি। ওই সভায় ছয়টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এর প্রায় এক মাস পর ৩ ফেব্রুয়ারি একনেকে আট প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর একনেক হয় ১৬ ফেব্রুয়ারি, তাতে নয়টি প্রকল্প অনুমোদন পায়। তারপর সর্বশেষ একনেক অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৬ মার্চ, তাতে ছয়টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রীর দফতরের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেদুর রহমান জানিয়েছেন, ‘আজ (১৩ এপ্রিল) একনেক নেই। পরবর্তী সপ্তাহে বা ২০ এপ্রিলও একনেক সভা অনুষ্ঠিত হবে না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জাগো নিউজকে বলেন, ‘একনেক হচ্ছে না, কারণ মনোযোগের বেশিরভাগটা নিয়ে গেছে করোনা। দ্বিতীয়ত, আমার এখানে যারা কাজ করে, এসব ক্ষেত্রে যারা কুশীলব, যারা কাগজপত্র ঘাটাঘাটি করে, তাদের অনেককেই আমরা করোনাজনিত কারণে ছুটি দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অফিসের লোক কমিয়ে শক্তি কমিয়ে আনা হয়েছে। উপস্থিতি কম। সুতরাং প্রকল্পের কাগজগুলো কম গতিতে এগোচ্ছে। আগে যেখানে লাগতো এক সপ্তাহ, এখন সেখানে লাগছে এক মাস। ফলে মিটিং করে তো লাভ নাই, যদি কাগজ হাতে না থাকে আমাদের। এজন্য আমরা আগের তুলনায় মিটিং কম করছি। এটা সাময়িক একটা ব্যাপার।’