চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। রোববার সকাল ১১টার দিকে মুরাদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় বাধা দেওয়ায় দুই শিক্ষার্থীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রক্তাক্ত করেছে ছিনতাইকারী।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোরসালিন আহমেদ মিরাজ ও তার সহপাঠী ( নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)। মোরসালিন আহমেদ মিরাজ বর্তমানে চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা জানান, রোববার সকাল ১১টার দিকে শহর থেকে ছেড়ে আসা ক্যাম্পাস অভিমুখে শাটল ট্রেনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী এবং সহপাঠী ট্রেনের শেষের দ্বিতীয় নম্বর বগিতে ছিলেন। ওই বগিতে আর কোনো শিক্ষার্থী ছিল না। এই সুযোগে দুইজন ছিনতাইকারী উক্ত বগিতে উঠে এবং মুরাদপুরের কাছাকাছি আসলে তাদের কাছ থেকে ফোন এবং টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। ভয় পেয়ে নারী শিক্ষার্থী ট্রেন থেকে লাফ দেয়। পরে অন্য শিক্ষার্থী মোরসালিন আহমেদ মিরাজের কাছ থেকে প্রায় আট হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। পরে ফোন ছিনতাইয়ের সময় তারা তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে মুখে ও শরীর আঘাত করে। পরে ওই শিক্ষার্থীর চিৎকারে ট্রেন থামানো হয়। তবে ট্রেন থামানোর আগেই ছিনতাইকারী দুইজন চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়।
মোরসালিন আহমেদ মিরাজের সাথে থাকা সহপাঠী অর্নব দত্ত সমকালকে বলেন,’ শাটলে আমাদের দুজন সহপাঠী হামলার শিকার হয়েছেন। একমধ্যে মোরসালিন আহমেদ গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে ন্যাশনাল হাসপাতালে আছে। তার মুখের আঘাত বেশ গভীর । অপারেশন শেষে শারীরিক অবস্থা বোঝা যাবে।’
অর্নব দত্ত আরও বলেন,’অন্য সহপাঠীর বাবা তার নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আত্মরক্ষার্থে সে ট্রেনের জানালা দিয়ে লাফ দেয়। পরে মাথায় ও পায়ে ব্যাথা পেয়েছে। চিকিৎসা শেষে সে এখন নিজ বাসায় আছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ সমকালকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা একজন ভুক্তভোগীর সাথে যোগাযোগ করতে পেরেছি। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরে শহরে পাঠিয়েছি। যেহেতু এটি শহরের ঘটনা আমরা রেলওয়ে পুলিশ ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বিষয়টি তদন্ত করবেন।’