কুষ্টিয়া থেকে চিলাহাটি ঘুরতে যান মুহাম্মদ হোসেন নামের এক বাংলাদেশি। সেখানে কুয়াশামাখা সকালে চা পান করতে বেরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ভুলে ভারতের কোচবিহার জেলার সীমান্ত গ্রাম ভাওলাগঞ্জে পৌঁছে যান। পরে সেখানকার একটি চায়ের দোকানে চা পানের পর বাংলাদেশি টাকা দিলে ভারতের দোকানদার তাকে আটকে পুলিশে খবর দেন। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে কোচবিহারের হলদিবাড়ি থানা পুলিশ। আজ সোমবার তাকে পশ্চিমবঙ্গের আদালতে তোলা হয়।
জানা গেছে, মুহাম্মদ হোসেন পেশায় একজন নাপিত। তিনি ঢাকার একটি সেলুনে কাজ করেন।
স্থানীয়রা জনায়, কাঁটাতারে বেড়া না থাকায় ভুলে মুহম্মদ হোসেন নামের বাংলাদেশি ভারতের সীমান্তবর্তী গ্রাম ভাওলাগঞ্জে প্রবেশ করে। সেখানে ভাওলাগঞ্জের মোড়ে এক চায়ের দোকানে চা পানের পর বাংলাদেশি ১০০ টাকার একটি নোট দেন দোকানিকে। পরে দোকানি বাংলাদেশি টাকা দেখে হলদিবাড়ি থানায় ফোন দেয়। পরে পুলিশ এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন ওই ব্যক্তির বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালি থানার শিউলিয়া গ্রামে। তিনি ভারত-বাংলাদেশ উন্মুক্ত সীমান্ত দিয়ে ভারতের ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছেন। বাংলাদেশি চায়ের দোকান ভেবেই চা পান করতে ভারতে প্রবেশ করেছেন তিনি।
হলদিবাড়ি থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার ওই বাংলাদেশির কাছ থেকে বাংলাদেশি ৬০০ টাকা এবং ২৩ নং রকেট এক্সপ্রেস ট্রেনের ৭ নভেম্বর তারিখের টিকিট উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে রোববার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে আজ তাকে আদালতে তোলা হয়।