চলতি মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয়ের সীমা ঠিক করে দিলো নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ৫ লাখ ও সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য ও সাধারণ সদস্য প্রার্থীরা এক লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয় করতে পারবেন।
এছাড়া চেয়ারম্যান প্রার্থী ব্যক্তিগত খরচ বাবদ সর্বোচ্চ ৫০ হাজার এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্যরা ১০ হাজার টাকা খরচ করতে পারবেন।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এ তথ্য জানান।
সব প্রার্থীর ব্যয়সীমা সংক্রান্ত নির্দেশনা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে ইসির পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে বৱে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এরইমধ্যে ২৭জেলা পরিষদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। যারা সবাই ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী।
ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীদের আয়কর সনদসহ রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রমাণ জমা দিতে হবে। তবে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকার সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য ও সাধারণ সদস্য প্রার্থীদের ১২ ডিজিটের আয়কর সনদ ও রিটার্ন জমার প্রমাণ দিতে হবে। এ দুই পদে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকার বাইরের প্রার্থীদের আয়কর সনদ দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।
প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় তার এজেন্ট ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি খরচ করতে পারবেন না জানিয়ে আতিয়ার রহমান বলেন, কোনো তফসিলি ব্যাংকের নতুন একটি অ্যাকাউন্ট থেকে পরিচালিত হতে হবে। এছাড়া, অপর একটি নির্দেশনায় আমরা জানিয়েছি, জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটকক্ষে কোনো ভোটার মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। নির্বাচনী কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট ও নির্বাচনী এজেন্টও মোবাইল ব্যবহার করতে পারবে না।
এছাড়া নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ব্যয়ের তথ্য দাখিল করতে প্রার্থী বাধ্যবাধকতার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর বাইরেও ভোটারদের মাঝে প্রচারের ব্যবস্থা করার জন্যও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া সারাদেশের ৬১টি জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটারসংখ্যা ৬৩ হাজার ১৫৯ জন। এদের মধ্যে নারী ভোটার ১৪ হাজার ৯২৩ জন ও পুরুষ ভোটার ৪৮ হাজার ২৩৬ জন।
নির্বাচনে সাধারণ ওয়ার্ড সদস্যপদ রয়েছে ৪৬৩টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্যপদ রয়েছে ১৭২টি। আর চেয়ারম্যান পদ রয়েছে ৬১টি। এসব নির্বাচনে ৪৭৭টি ভোটকেন্দ্রের ৯৫৫টি কক্ষে ভোট গ্রহণ হবে।
উচ্চ আদালতে আপিল নিষ্পত্তি, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ও হাইকোর্টের আদেশ প্রতিপালন শেষে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী রয়েছেন ৯৬ জন, সাধারণ সদস্য পদে ১ হাজার ৫১৩ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে রয়েছেন ৬২২ জন প্রার্থী।


