যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জনসমর্থনে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী কমলা হ্যারিস তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রিপাবলিকানের ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন। টেলিভিশন নেটওয়ার্কগুলোর জরিপে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
এনবিসি নিউজের জরিপের ফলে দেখা গেছে, জনসমর্থনে কমলা হ্যারিস ট্রাম্পের চেয়ে পাঁচ শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন। কমলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হওয়ার পর থেকে জরিপে অংশগ্রহণকারীরা তার প্রতি বেশি অনুকূল মনোভাব দেখাচ্ছেন।
প্রার্থী হওয়ার পর থেকে কমলা হ্যারিসের বিষয়ে তাদের মনোভাব কী, এমন প্রশ্নের উত্তরে জরিপে অংশ নেওয়া ১০০০ নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে ৪৮ শতাংশ ইতিবাচক ছিলেন, কিন্তু জুলাইয়ে তা ৩২ শতাংশ ছিল।
আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হবে। ইতোমধ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে হ্যারিসের একদফা টিভি বিতর্ক হয়ে গেছে। জো বাইডেন সরে দাঁড়াবার পর কমলা হ্যারিস এখন বিভিন্ন রাজ্যে ভরপুর প্রচার চালাচ্ছেন। ট্রাম্পও পুরোদমে প্রচার করছেন।
এই পরিস্থিতিতে এক হাজার জন ভোটদাতার সঙ্গে কথা বলে এনবিসি টিভি-র সমীক্ষা জানাচ্ছে, ৪৮ শতাংশ মানুষ হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে চাইছেন। ৪০ শতাংশ চাইছেন ট্রাম্পকে। গত জুলাইতে হ্যারিসকে চাইছিলেন ৩২ শতাংশ মানুষ এবং ট্রাম্পকে ৩৮ শতাংশ।
এনবিসি জানিয়েছে, জুলাই ও সেপ্টেম্বরের পরিস্থিতির মধ্যে বিশাল পার্থক্য দেখা দিয়েছে।
এনবিসি নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, ১৩ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর এই সমীক্ষা করা হয়েছে। তাতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা তিন পার্সেন্টেজ পয়েন্ট।
সিবিএস-এর জনমত সমীক্ষাতেও হ্যারিস ট্রাম্পের থেকে এগিয়ে আছেন। সেখানে হ্যারিস ৫২ শতাংশ ও ট্রাম্প ৪৮ শতাংশ ভোট পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
সিবিএসের দাবি, তাদের সমীক্ষায় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা হলো দুই পার্সেন্টেজ পয়েন্ট। অর্থাৎ, ট্রাম্প বা হ্যারিস দুই শতাংশ ভোট কম-বেশি পেতে পারেন। রয়টার্স-পিএসওএস যে জাতীয় সমীক্ষা করেছিল, তার সঙ্গেও এই দুই সমীক্ষার প্রবণতা মিলে যাচ্ছে।
৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প এই নিয়ে তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ছেন। তিনি একবার জিতেছেন, গতবার বাইডেনের কাছে হেরেছেন। তারপর তিনি হারের জন্য জালিয়াতির অভিযোগ করেছেন। তার বিরুদ্ধে মামলাও চলছে।
অন্যদিকে ৫৯ বছর বয়সী কমলা হ্যারিস এখন ভাইস প্রেসিডেন্ট। নির্বাচনে জিতলে যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৮ বছরের ইতিহাসে তিনিই হবেন প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।
এনবিসি-কে কুক পলিটিক্যাল রিপোর্টের সম্পাদক ও প্রকাশক অ্যামি ওয়ালটার বলেছেন, কমলা হ্যারিস লড়াইয়ের চরিত্রটা বদল করে দিতে পেরেছেন। আগে লড়াইটা ছিল, বাইডেনের কাজের ওপর ভোট। এখন তা হয়ে দাঁড়িয়েছে, ট্রাম্পের ওপর গণভোট।
সিবিএস ১৮ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর তিন হাজার ১২৯ জন ভোটদাতার সঙ্গে কথা বলেছে। তারা জানাচ্ছে, আগস্টের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, ট্রাম্প ও হ্যারিস দুজনেই সমান জায়গায় আছেন। এবার তাদের সমীক্ষার ফল বলছে, হ্যারিস দুই পার্সেন্টেজ পয়েন্টে এগিয়ে গেছেন।