আহামরি ও খুব উল্লেখযোগ্য না হলেও প্রায় প্রতি বছর দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে সুযোগ সুবিধা, ম্যাচ ফি, দৈনিক ও যাতায়াত ভাতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারপরও আর কী কী করলে জাতীয় লিগ আরও আকর্ষণীয় হবে? দীর্ঘদিন জাতীয় লিগ খেলা আব্দুর রাজ্জাক দিয়েছেন এ প্রশ্নের উত্তর।
জাতীয় দলের বর্তমান নির্বাচক জানিয়েছেন, ‘দেখুন এক এক করে সিস্টেম যুক্ত হচ্ছে। এখন যেমন ফিটনেস টেস্ট। তার আগে হোটেলে রিপোর্টিং করতে হতো। এখন প্রত্যেক বিভাগে আলাদা ক্যাম্প হচ্ছে। এগুলো প্রক্রিয়ার মধ্যেই আছে। আমার কাছে মনে হয় সুন্দর প্রক্রিয়াতেই এগোচ্ছে। বৃষ্টির কারণে কোনো সমস্যা না হলে যথেষ্ট প্রতিযোগিতা হবে।’
‘প্রত্যেক বছর কিছু না কিছুতে উন্নতি হচ্ছে। আগে বেশি ড্র হতো, এখন প্রায়ই ফলাফল বের হয়। অর্থাৎ প্রতিযোগিতা বেড়েছে। প্রত্যেক খেলোয়াড় চায় ১০০ রান করতে, পাঁচ উইকেট পেতে। এটা উন্নতির লক্ষণ। আগে এক-দুইজন ছিল। এখন এগারোজনের সঙ্গে বাইরের ওরাও ভালো করতে চায়।’
জাতীয় লিগের পারফরম্যান্স মূল্যায়িত না হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচকের দৃষ্টিতে তার কী মত? রাজ্জাক বলেন, কেউ এটা মনে করে থাকলে ভুল হবে। আমাদের পারফরম্যান্স দেখাই হয় এই ২-৩টি খেলায়; এনসিএল, বিসিএল, ডিপিএল আর এখন বিপিএল। এখানে যারা পারফর্ম করে সাধারণত তারাই থাকে। তারপরও সন্দেহ থাকার কথা না।’
‘এমন কিছু হতে পারে- কিছু খেলোয়াড় থাকে, যারা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেই শুধু খেলছে। তুষার ইমরানের কথা ধরেন। ভালো খেলছে, কিন্তু এখন কি ওকে নেওয়া সম্ভব? এসব অভিযোগ থাকবে। এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। মূল ব্যাপার হলো যাদের নিয়ে জাতীয় দল চিন্তা করছেন তাদের ঠিক পথে নিতে পারছি কি না।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা চাই সব খেলোয়াড় টুর্নামেন্টগুলো খেলুক। বেশি খেললে নিজের কাছেও পরিস্কার থাকবে। জাতীয় দলে কিছু জায়গা থাকে একদম পাকাপোক্ত। ঐ জায়গাতে কাউকে আসতে হলে অসাধারণ পারফরম্যান্স করে আসতে হবে। এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার।’
আগামী নভেম্বরে পাকিস্তানের সঙ্গে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। জাতীয় লিগে যে টেস্ট স্পেশালিস্টরা খেলবেন তাদের কী হবে? তারা কয় রাউন্ড খেলার সুযোগ পাবেন? রাজ্জাক এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি। তবে তার আশা, ৩-৪টি ম্যাচ তো খেলার সুযোগ থাকবে।