জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর জোলিঙ্গেনে এক উৎসবের আয়োজনে ছুরি হামলায় তিনজন নিহত ও আটজন আহত হওয়ার ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারী ২৬ বছর বয়সী এক সিরীয় নাগরিক বলে রোববার জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ডুসেলডর্ফ পুলিশ ও প্রসিকিউটররা এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করার পর অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। তবে সত্যি সত্যি তিনি জড়িত ছিলেন কি না, তা নিশ্চিত করতে ‘নিবিড় তদন্ত’ শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
রয়টার্স জানায়, শনিবার গভীর রাতে এক সরকারি কর্মকর্তা জার্মানির টেলিভিশনে এই হামলাকারীকে গ্রেপ্তারের কথা ঘোষণা করেন৷ কর্তৃপক্ষ ঘটনার পর থেকে হামলাকারীকে ধরতে অভিযান শুরু করে আর তারপর ইতোমধ্যে ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে যায়।শুক্রবার স্থানীয় সময় রাতে জোলিঙ্গেন শহরের ৬৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনাটি ঘটে। ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেছে ।
র্কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন জোলিঙ্গেনে শরণার্থীদের জন্য বরাদ্দ করা একটি বাড়ির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শনিবার পুলিশ বাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়েছিল।অনামা নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জার্মানির গণমাধ্যম ডেশ পিগেল জানিয়েছে, সন্দেহভাজন হামলাকারীর পোশাকে রক্ত লেগে ছিল।কিন্তু পিগেলের দেওয়া এই তথ্যের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি পুলিশ।
আইএস শনিবার তাদের টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক বিবৃতিতে হামলাকারীকে ‘ইসলামিক স্টেটের একজন সৈনিক’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তারা বলেছে, “ফিলিস্তিন এবং সর্বত্র মুসলিমদের বিরুদ্ধে করা অন্যায়ের প্রতিশোধ নিতে সে এই হামলা চালিয়েছে।”তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিজেদের দাবির পক্ষে তারা কোনো প্রমাণ দাখিল করেনি আর হামলাকারী ও ইসলামিক স্টেটের মধ্যে যদি কোনো সম্পর্ক থেকে থাকে তাহলে তা কতোটা ঘনিষ্ঠ তা পরিষ্কার হয়নি।নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেনড্রিক ভুস্ট এই ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে বর্ণনা করেছেন।