ইসরাইলের মুহুর্মুহু বোমা হামলায় তছনছ হয়ে গেছে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবির। ০.৪২ বর্গকিলোমিটারজুড়ে থাকা ছোট্ট উদ্বাস্তু শিবির এখন ধ্বংসস্তূপ। সেখানে বাঁচার জন্য মানুষের খাবার নেই। এরই মধ্যে নতুন করে পানি, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পোলিও টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ‘প্রকৃত যুদ্ধবিরতি’ প্রয়োজন। কারণ গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় কমপক্ষে ৬১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। খবর আল-জাজিরার
এদিকে দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরের এক সুড়ঙ্গ থেকে মার্কিন নাগরিকসহ ৬ জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। শনিবার উদ্ধারের খুব কাছাকাছি সময়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।রোববার দেওয়া এক বিবৃতিতে আইডিএফ মরদেহগুলো ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ফিরিয়ে নেওয়ার কথাও জানিয়েছে।আইডিএফ দাবি করেছে, ‘তাদের সবাইকে গত বছর ৭ অক্টোবর জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং হামাস গাজা উপত্যকায় তাদের হত্যা করেছে।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করে হামাস। জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় আরও ২৫১ জনকে।ওই হামলার প্রতিশোধ নিতে সেদিন থেকেই গাজায় তীব্র হামলা শুরু করে আইডিএফ। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ৫৩০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।