আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার ৩১ সদস্য রাষ্ট্র ৬০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল রিজার্ভ থেকে মুক্ত করবে বলে জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলো এ বিষয়ে একমত হয়েছে। হোয়াইট হাউজ এবং আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা মঙ্গলবার (১ মার্চ) রাশিয়ার হামলার পর বিশ্বজুড়ে গ্যাসের দামের পরিবর্তনকে প্রশমিত করতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে।
৬০ মিলিয়ন ব্যারেলের অর্ধেক অর্থাৎ ৩০ মিলিয়ন ব্যারেল দেওয়া হবে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ থেকে এবং বাকিটুকু আসবে ইউরোপ ও এশিয়ার মিত্র দেশগুলো থেকে। এসব মিত্র দেশের মধ্যে রয়েছে প্রধান ইউরোপীয় দেশগুলো তথা জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, নেদারল্যান্ডস। এছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানও এই তালিকায় রয়েছে।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা জানায়, সদস্য দেশগুলো বৈশ্বিক তেলের বাজারে একটি শক্ত বাণী পৌঁছাতে চায় যে রাশিয়ার ইউক্রেনে আক্রমণের কারণে তেলের কোন ঘাটতি তৈরি হবে না।
হোয়াইট হাউজ তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, এটা ইউক্রেনে রাশিয়ার অপ্ররোচিত এবং অনৈতিক হামলার নিন্দায় এবং পুতিনের যুদ্ধের সিদ্ধান্তের বিপরীতে বিশ্বজুড়ে মিত্র দেশগুলোর একটি জবাব।
জ্বালানির আন্তর্জাতিক বাজারে উত্তাপ ছড়িয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। ইউক্রেন সীমান্তে সৈন্য সমাবেশের খবরের পর থেকেই অপরিশোধিত তেলের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে।
এদিকে ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
ট্রুডো বলেন, রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন এবং রাশিয়ান অলিগার্চরা তেল রফতানি করে রাজস্ব আয় করছে।
সমন্বিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো রাশিয়ার ব্যাংকগুলোকে টার্গেট করলেও রাশিয়ার রফতানি করা তেল ও গ্যাস এখনও কিনছে। তবে কানাডা ইউরোপের মতো রাশিয়ার তেলের ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল নয়।
ট্রুডো একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, যদিও কানাডা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়া থেকে খুব কম পরিমাণে তেল আমদানি করেছে, তবে এ পদক্ষেপের মাধ্যমে তাদের একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠানো হয়েছে।
পিএসএন/এমঅাই
প্রকাশক ও সম্পাদক- আলি আবরার । নিরালা, খুলনা থেকে প্রকাশিত