টিকার প্রাপ্যতা সাপেক্ষে গণটিকা কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রোববার (১৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ান অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) অডিটোরিয়ামে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
গণটিকা কার্যক্রম আবার কবে থেকে শুরু হবে এমন প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, ভ্যাকসিন দেওয়ার সক্ষমতা আমাদের যে রয়েছে, সেটা প্রমাণিত হয়েছে। একদিনে আমরা ২৪ লাখ ভ্যাকসিন দিয়েছি। ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা সাপেক্ষে আমাদের আগামী দিনে টিকা কর্মসূচি চলবে। যদি আমাদের হাতে অনেক পরিমাণ ভ্যাকসিন চলে আসে তাহলে শহরে এবং গ্রামে দুই জায়গাতেই ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলমান থাকবে। যদি আমাদের হাতে ভ্যাকসিনের পরিমাণ কম থাকে তাহলে আমাদের কার্যক্রম সেভাবেই পরিকল্পনা করতে হবে। সবকিছু নির্ভর করে আমাদের ভ্যাকসিনের মজুদের ওপর। আবার আমরা যখন বেশি পরিমাণে ভ্যাকসিন পাবো, তখন গ্রাম পর্যায়ে আবারো ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হবে। বর্তমানে যেভাবে টিকার কার্যক্রম চলছে সেভাবেই চলবে।
ভ্যাকসিন ক্রয় কার্যক্রম শুধু একটি দেশকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন ক্রয়ের ক্ষেত্রে আমাদের বিশেষ কোনো পছন্দ নেই। যাদের কাছ থেকে আমরা ভ্যাকসিন পাচ্ছি, তাদের কাছ থেকেই নিচ্ছি। চীন আমাদের ভ্যাকসিন দিতে পারছে বলেই আমরা তাদের কাছ থেকে ভ্যাকসিন নিচ্ছি। রাশিয়ার সাথে আমাদের চুক্তি সম্পাদন হয়েছে, এখন আমরা অপেক্ষায় আছি তারা কবে টিকা দেবে। কোভ্যাক্সের সাথেও আমাদের সাত কোটি টিকার চুক্তি রয়েছে। তারাও আমাদের টিকা দিচ্ছে, আমরা সেই টিকাও গ্রহণ করছি।
তিনি বলেন, ভারতের কাছে আমাদের দুই কোটি ৩০ লাখ টিকা পাওনা আছে। তাদেরও আমরা টিকার জন্য তাগাদা দিচ্ছি। ভারত সামান্য একটু ইঙ্গিত দিয়েছিল আগস্ট মাসে তারা টিকা দেওয়া শুরু করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা তাদের কাছ থেকে টিকা পাওয়ার শিডিউল পাইনি।
করোনা বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জাতীয় পরামর্শক কমিটি তো সবসময় ভালো পরামর্শই দেয়। পরামর্শক কমিটি বলছে এই লকডাউন আরও কিছুদিন চললে ভালো হতো। কিন্তু সরকারকে সব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়। যেহেতু সব খুলে দেওয়া হচ্ছে, তাই আমাদের মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
আলোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন।
আরও বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আলী নুর, বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান ও মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম।