ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশন হয়ে খুলনা পর্যন্ত নবনির্মিত লাইনে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলল ১০০ কিলোমিটার গতিতে।
রোববার ট্রেনটি ভাঙ্গা জংশনে পৌঁছায় সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে। পরে ১০টা ৪০ মিনিটে ট্রেনটি খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় বলে ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার সাকিব আকন্দ জানান।
আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ট্রেনটি নিয়মিত চালুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
পরীক্ষামূলক ট্রেনে যাত্রী হিসেবে ছিলেন রেলপথ বিভাগের সচিব আব্দুল বাকি, রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত হোসেন, রেলওয়ের পশ্চিম অঞ্চলের প্রধান কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও চায়না রেলওয়ে কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ট্রেনটির লোকো মাস্টার মো. সাখাওয়াত হোসেন (৫৫) বলেন, “১২টি বগি নিয়ে ঢাকার কমলাপুর থেকে নড়াইল হয়ে খুলনা পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেনটির এটি তৃতীয় ট্রায়েল। পরীক্ষামূলক ট্রেনটি চালাতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। বাণিজ্যিকভাবে চালু হলে এ ট্রেনে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টায় খুলনা থেকে ঢাকা পর্যন্ত যাত্রীরা যেতে পারবেন।”
সহকারী লোকো মাস্টার গোলাম রসুল বলেন, “ট্রেনটি চালুর অংশ হতে পেরে গর্বিত।”
রাজবাড়ী রেলওয়ের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মো. শফিকুর রহমান বলেন, “পরীক্ষামূলক ট্রেনটির যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”
রেলপথ বিভাগের সচিব আবদুল বাকি বলেন, “১২টি বগি নিয়ে সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকার কমলাপুর থেকে খুলনা পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেনটির এটি ছিল তৃতীয় ট্রায়াল। আমরা সফলভাবে তিনটি ট্রায়াল সম্পন্ন করেছি। খুলনা পৌঁছতে তিন ঘণ্টা ৪৫ থেকে ৫০ মিনিটে সময় লেগেছে।”
বাকি আরও বলেন, “আমাদের পরিকল্পনা আছে, ডিসেম্বরে প্রথমসপ্তাহে বাণিজ্যিকভাবে এ রুটে ট্রেনের যাত্রা শুরু করার।”
রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত হোসেন বলেন, “পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-খুলনা রুটে কতটি ট্রেন চলবে তা এখনো চূড়ান্ত করতে পারিনি। আমাদের কোচের সংকট আছে। যে পরিমাণ চাহিদা, তা পূরণ করতে হলে সমন্বয় করে চালাতে হবে। তবে আমরা চেষ্টা করব, আমাদের সীমিত সম্পদ নিয়ে মানুষের সর্বোচ্চ সেবাটা দেওয়ার।”
তিনি আরও বলেন, ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশন থেকে যশোরের পদ্মবিলা স্টেশন পর্যন্ত ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার এবং পদ্মবিলা থেকে সিঙ্গিয়া হয়ে খুলনা পর্যন্ত ৭৫ কিলোমিটার গতিতে চলবে ট্রেনটি।
উচ্চ গতির ট্রেন চালুর খবরে এ অঞ্চলের যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। বাণিজ্যিকভাবে চালু হলে এ ট্রেনে মাত্র সাড়ে ৩ ঘণ্টায় খুলনা থেকে ঢাকা পর্যন্ত যেতে পারবেন যাত্রীরা।