প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৬ রান করেছে বাংলাদেশ দল। ভালো ব্যাটিং করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। মিডলে কাইল ভারায়েনে সেঞ্চুরি পেয়েছেন। লোয়ার মিডলে ফিফটি করেছেন পেস অলরাউন্ডার ওয়ান মুলদার। তারপরও দলটির রান হয়েছে ৩০৮। ২০২ রানের লিড নিয়েছে প্রোটিয়ারা। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৯ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশ ১০১ রান তুলে দিন শেষ করেছে।
এখনও দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে ১০১ রানে পিছিয়ে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ইনিংসেও বাংলাদেশ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বলা যায়। অথচ পেসার হাসান মাহমুদ মনে করছেন, মিরপুরের স্পিন সহায়ক উইকেটেও তৃতীয় দিনের পুরোটা অর্থাৎ তিন সেশন ব্যাটিং করা সম্ভব। ওই তিন সেশন ব্যাটিং হলে চারশ’ রান করা সম্ভব এবং দুইশ’ রানের লিড নিয়ে এই টেস্ট জেতা সম্ভব।
দ্বিতীয় দিন শেষে বল হাতে ৩ উইকেট নেওয়া পেসার হাসান বলেন, ‘দুইশ’ রানের মতো লিড হলে এই টেস্ট জেতা সম্ভব।’ পাল্টা প্রশ্নের মুখোমুখি হন তিনি। দুইশ’ রানের লিড নিতে হলে দলকে করতে হবে ৪০২ রান। সেটা সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নে বলেন, ‘তিন সেশন ব্যাটিং করতে পারলে সম্ভব।’ আবারও সম্পূরক প্রশ্ন, মিরপুরে কি তৃতীয় দিন তিন সেশন ব্যাটিং সম্ভব। হাসান বলেন, ‘হ্যা, সম্ভব।’
প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে অলআউট হলেও প্রথমদিন ম্যাচে থাকার আশা দিয়েছিল বাংলাদেশ। ১৪০ রানে তুলে নিয়েছিল প্রোটিয়াদের ৬ উইকেট। কিন্তু লোয়ারে ভারায়েনে এবং মুলদার ১১৯ রানের জুটিতে লিড বড় করে ফেলেছেন। তারা যথাক্রমে সেঞ্চুরি ও ফিফটি করেছেন। লোয়ারের ব্যাটারদের আউট করতে না পারার প্রশ্নে পেসার হাসান জানান, তারা চেষ্টা করেছেন ওই সময় রান যত সম্ভব কম দিয়ে তাদের আউট করার। কিন্তু সম্ভব হয়নি। লোয়ারের রান এবং উইকেটকে তারা সমান গুরুত্ব দেন বলেও মন্তব্য করেন।
এক পেসার খেলানোর প্রশ্নে তিনি জানান, এটি টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। তার সঙ্গে কোন পেসারের জুটি হলে ভালো হতো কিনা এমন প্রশ্নও এড়িয়ে যান তিনি। স্পিনার তাইজুল ইসলাম ভালো বোলিং করেছেন এবং তার সঙ্গে ভালো জুটি হয়েছে বলেও জানান। হাসানের মতে, কারো সঙ্গে জুটি নয় তার চেষ্টা থাকে নিজের বোলিংটা ভালো মতো করা।