খুলনার তেরখাদায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মো. ফারুক মীর (৪০) নামে স্থানীয় ইউপি সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহত ফারুক মধুগ্রামের মো. গাউস মীরের ছেলে।
খুলনার তেরখাদা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের কোলা বাজারে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। গাজীরহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মধু গ্রামে মীর সিকদার বংশের লোকজনদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬ টায় কোলা বাজারে দু’ বংশের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ফারুক মীরকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু। এছাড়া এ ঘটনায় আহত আরো কয়েকজন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতের মধ্যে রয়েছেন নুরু মোল্লা (৪০), জসিম মীর (৪০), গাউছ মীর(৭০) ও ইলিয়াছ(৫০) । এদের মধ্যে নুরু মোল্লার অবস্থা গুরুতর। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সম্ভাব্য সংঘাত এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে তেরখাদার মধুপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-সম্পাদক সৈয়দ ফারুক আলীকে রাজনৈতিক শত্র“তার জেরধরে আওয়ামী লীগের চিহিৃত সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে জেলা বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন। তারা এক বিবৃতিতে জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে স্থানীয় কুলাবাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্মম এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনা শুনে হাসপাতালে যেয়ে শোকাহত পরিবারকে সান্তনা ও সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আমীর এজাজ খানসহ নেতৃবৃন্দ। এলাকার চিহিৃত আওয়ামী সন্ত্রাসী ও ফারুক আলীর হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার পূর্বক দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন খুলনা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিদাতারা হলেন খুলনা জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আমীর এজাজ খান ও সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী।